ইম্ফল, 23 জুলাই:মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পিছনে ইন্ধন রয়েছে ভুয়ো খবর বা ফেক নিউজের । এমনই দাবি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের । এরজন্য পরোক্ষভাবে সংবাদমাধ্যমগুলিকে দায়ী করেই ওই আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মণিপুর হিংসা ঘিরে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে । যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে । কী ধরনের হিংসা ছড়াচ্ছে মণিপুরে সেই নিয়েও মুখ খুলেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ।
মে মাসের 3 তারিখ অশান্ত হতে শুরু করে মণিপুর । এখনও পর্যন্ত মণিপুর হিংসায় 160 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মণিপুর নিয়ে এমন কিছু ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাতে অশান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার আধিকারিকরা । এই প্রসঙ্গে 4 মে-র ঘটনাকে সামনে আনা হচ্ছে । যে ভিডিও ঘিরে মণিপুর-সহ গোটা দেশে নিন্দার ঝড় । আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, 4 মে মণিপুরের কাঙ্গপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটতে বাধ্য করা হয় । এই ঘটনাও ঘটে একটি ভুয়ো ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে ৷ যেখানে দাবি করা হয়েছিল চূড়াচাঁদপুরে এক আদিবাসী মহিলাকে খুল করা হয়েছে ৷ কিন্তু সেই খবর ছিল মিথ্যে ৷
এরপরই, ভুয়ো খবর ছড়ায় মহিলাদের গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৷ ইম্ফল জুড়ে এই খবর হিংসার পারদ আরও বাড়ায় ৷ অন্য এক খুনের ঘটনার সঙ্গে কাঙ্গপোকাপির ঘটনাকে জড়িয়ে ফেলা হয় বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা । 4মে-র ঘটনা প্রভাব এতটাই মারাত্মক ছিল , সেদিনই 30 কিলোমিটার দূরে আরও দুই তরুণীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয় । এরপরই মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করা হয় । কারণ, হিংসার মণিপুরে ভুয়ো খবর আগুনের মতো কাজ করছিল বলেই দাবি ।
আরও পড়ুন: 'মণিপুর ইস্যুতে আলোচনায় বসুন', হাত জোর করে অনুরোধ অনুরাগের