দাবাঙ্গেরে, 22 মার্চ :একই মানুষের প্রেমে পড়েছিল মা ও মেয়ে ৷ আর সেই ত্রিকোণ প্রেমের বলি হতে হল দাদুকে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হোন্নালি তালুকের কুলাগাট্টে গ্রামে ৷
মনজাপ্পা জানতে পেরেছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে ঊষা ও নাতনি সিন্ধু একই ব্যক্তির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ৷ শ্রীনিবাস নামে ওই ব্য়ক্তির সঙ্গে মা-মেয়ের এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি মনজাপ্পা ৷ অভিযোগ, এর জেরেই ঊষা ও সিন্ধু, শ্রীনিবাসের সঙ্গে যোগসাজশ করে মনজাপ্পাকে খুন করে ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়ে আর নাতনির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন মনজাপ্পা ৷ সম্প্রতি শ্রীনিবাসের সঙ্গে মা-মেয়ের ত্রিকোণ প্রেমের কথা জানতে পারেন তিনি ৷ শ্রীনিবাস নিজেও বিবাহিত ৷ তার একটি সন্তানও আছে ৷ তারপরও তার এই আচরণে চটেছিলেন মনজাপ্পা ৷ তিনি এর বিরোধিতা করেন এবং রুখে দাঁড়ান ৷
মেয়ে আর নাতনিকে শ্রীনিবাসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন মনজাপ্পা ৷ তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলে মা-মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনও ৷ বরং প্রেমে বাধা পেয়ে ক্ষেপে যায় ঊষা ৷ প্রাথমিকভাবে সে-ই বাবাকে খুনের ছক কষে ৷ তাতে সায় দেয় সিন্ধু আর শ্রীনিবাস ৷ এরপর মনজাপ্পাকে নির্মমভাবে খুন করে তিনজন ৷ পরে তাঁর দেহ একটি খাঁড়িতে ফেলে দেয় আততায়ীরা ৷
আরও পড়ুন :বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন, মালদায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনজাপ্পাকে খুনের জন্য প্রথমে একটি খামারবাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই তাঁকে মদ্যপান করানো হয় ৷ বেহুঁশ হয়ে গেলে পাথর মেরে থেঁৎলে খুন করা হয় মনজাপ্পাকে ৷
এদিকে, টানা তিন সপ্তাহ ধরে মনজাপ্পার খোঁজ না পেয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে ও নাতনি ৷ তদন্তে নেমে মনজাপ্পার দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে ও নাতনিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ৷ জেরায় মনজাপ্পাকে খুনের কথা স্বীকার করে তারা ৷ পরে ভদ্র খাঁড়ি থেকে ওই ব্য়ক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷