নয়াদিল্লি, 4 মার্চ :সঞ্চয়ের উপর সুদের হারে আপাতত কোনও রদবদল ঘটাচ্ছে না ইপিএফ কর্তৃপক্ষ ৷ 2019-'20 আর্থিক বছরের মতো চলতি 2020-'21 অর্থবর্ষেও সুদের হার থাকল 8.5 শতাংশ ৷ বৃহস্পতিবার একথা জানান কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়ার ৷ শ্রীনগরে তাঁর সভাপতিত্বেই এনিয়ে বৈঠক হয় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের ৷ সেখানেই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ ৷
সুদের হার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল নানা জল্পনা ৷ মনে করা হচ্ছিল, এবছর সঞ্চয়ের উপর সুদ কমাতে পারে ইপিএফও কর্তৃপক্ষ ৷ করোনা আবহে বহু মানুষই রুজিরুটি হারিয়েছেন ৷ কমেছে উপার্জন ৷ মহামারীর জের গড়িয়েছে ইপিএফও পর্যন্তও ৷ বহু সদস্যেরই মাসিক কিস্তি সময়মতো জমা পড়েনি ৷ টান পড়েছে সংস্থার ভাঁড়ারে ৷ এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সঞ্চয়ের উপর সুদ কমানোর দাওয়াই দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল ৷
পরিস্থিতি যাই হোক, ইপিএফও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত হাসি ফোটাবে অগুন্তি কর্মীর মুখে ৷ তবে প্রশ্ন একটা থাকছেই ৷ চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের চার রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে ভোটের নির্ঘণ্টও ঘোষিত হয়ে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় ইপিএফও-র সুদ কমলে প্রচারের মাঠে নতুন অস্ত্র হাতে পেত বিজেপিবিরোধীরা ৷ তাতে বেকায়দায় পড়তে হত গেরুয়াশিবিরকে ৷ বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জনমানসে এর একটা তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়তই ৷ যার প্রতিফলন হত ইভিএমে ৷ সুদের হার অপরিবর্তিত থাকায় সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমল ৷ তাই ভোটের দিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ কি না, সেই জল্পনা থাকবেই ৷ আর এটা এমন একটা ইশু যে বিরোধীরাও এনিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না ৷ বরং বিজেপি দাবি করতে পারবে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও মানুষের কথা ভেবেই সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও কর্তৃপক্ষ ৷