নয়াদিল্লি, 14 অক্টোবর: তিনি শিক্ষিত এবং ভগবানকে ভয় পান, কোনও ব্যক্তির শুধুমাত্র এরকম দাবির উপর ভিত্তি করে আদালত কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি নির্ধারণ করতে পারে না ৷ সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ ও জেবি পার্দিওয়ালার পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি বিবেচিত হওয়া উচিত কোনও গোষ্ঠীর তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে তার ভিত্তিতে ৷ অন্যদিকে, চরিত্র থেকে ওই মানুষটি সম্পর্কে বোঝা যায় ৷
আদালতের কথায়, মানুষের চরিত্র গঠিত হয়, কিন্তু ভাবমূর্তি অর্জন করে হয় ৷ চরিত্র কোনও ব্যক্তির ভাবমূর্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে কিন্তু তা বলে এই দুটি বিষয় এক নয় ৷ অনেক আভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাবমূর্তি বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাই যাঁদের মতামতের ভিত্তিতে এই ভাবমূর্তির বিষয়টি গড়ে ওঠে, তাদের মানদণ্ডেই এই বিষয়টি বিবেচিত হওয়া উচিত ৷ বিচারপতি সুন্দরেশের মতে, যখন খ্যাতির বিষয়টিকে একটি প্রাসঙ্গিক সত্যি হিসেবে গ্রহণ করা হয় তখন এর মান সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ৷ কোনও একটি ইস্যুতে যখন খ্যাতির বিষয়টি সত্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে তখন আদতে তা একটি দুর্বল প্রমাণ হিসেবেই গণ্য হয় ৷
খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হরবিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট ৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি ৷ এর আগে নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও হাইকোর্টে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ৷ ঘটনা হল, যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট হরবিন্দর সিং নামে ওই ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছিল, সেই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছিলেন তিনি শিক্ষিত ও ভগবানে ভয় পান, তাই তিনি সত্যি কথা বলছেন ৷ তাঁর এই কথার উপর ভিত্তি করেই হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দেয় ৷