Supreme Court : সংরক্ষিত ইভিএম এবং ভিভিপ্য়াট হাতে পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন

ছয় রাজ্যে ব্যবহৃত ইভিএম এবং ভিভইপ্য়াট সংরক্ষিত করে রাখতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে ৷ কারণ, নির্বাচন সংক্রান্ত বহু মামলা চলছে ৷ বিষয়টি মেটাতে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কমিশন ৷ যাতে আসন্ন নির্বাচনী মরশুমের আগেই এই ঝঞ্ঝাট মিটিয়ে ফেলা যায় ৷

নয়াদিল্লি, 2 সেপ্টেম্বর : করোনার জেরে ছ’টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম (EVM) এবং ভিভিপ্যাট (VVPAT) মাসের পর মাস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ৷ তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে ওই ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিনগুলি ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়া দরকার ৷ প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (Chief Justice N V Ramana) মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছেন ৷ আগামী সপ্তাহে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি করা হবে ৷ নির্বাচন কমিশনের হয়ে মামলাটি রুজু করেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ সিং ৷

নির্বাচন কমিশনের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় আদালতে একের পর এক আবেদন জমা পড়েছে ৷ ফলে ইভিএম এবং ভিভিপ্য়াট মেশিনগুলি আর ছাড়িয়ে উঠতে পারছে না নির্বাচন কমিশন ৷ এক্ষেত্রে কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য হল, অসম, কেরল, দিল্লি, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাগুলির ক্ষেত্রে আবেদন জানানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক ৷

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট রয়েছে ৷ ফলে আটকে থাকা ভিভিপ্য়াট ও ইভিএমগুলি হাতে আসা জরুরি ৷ সবদিক খতিয়ে দেখে এরপরই আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ৷ এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সুর্যকান্ত (Justices Surya Kant) এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না (Justice A S Bopanna) ৷

প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখেই নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হয় ৷ গত 27 এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই বিষয়ে আবেদন করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয় ৷ 1951 সালের পিপল অ্য়াক্ট অনুসারে এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ ফলে এখনও যে কেউ এই ধরনের যে কোনও মামলায় অন্য পক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন ৷ ফলে নির্বাচন কমিশনকেও সংশ্লিষ্ট ইভিএম এবং ভিভিপ্য়াটগুলি সংরক্ষিত করে রেখে দিতে হয়েছে ৷ আসন্ন নির্বাচনী মরশুমের আগে এই ঝঞ্ঝাট মিটিয়ে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন ৷