নয়াদিল্লি, 16 জানুয়ারি:দিল্লিতে মঙ্গলবারও অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ ৷ রয়েছে ঘন কুয়াশা । আর কুয়াশার পুরু আস্তরনের জেরে বিমান দেরিতে ওঠা-নামা করছে । জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে 30টি বিমান ছাড়তে দেরি হচ্ছে । পাশাপাশি 12টিরও বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে । সকাল সাতটার দিকে বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল 100 মিটার, যা সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে শূন্য হয়ে যায় । অন্যদিকে সফদরজংয়ে দৃশ্যমানতা ছিল 50 মিটার ।
একজন বিমান যাত্রী জানান, তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁকে বলা হয়েছিল যে বিমানটি নির্ধারিত সময়ে টেক অফ করবে । বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন, তাঁর উড়ানে 2 ঘণ্টা দেরি হবে । তবে দুই ঘণ্টা পরও বিমানটি টেক-অফ করতে পারবে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি । বিমানবন্দরটি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ সেখানে বিমান যাত্রীদের কেবলমাত্র বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারপরেই বিমানবন্দরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । যাতে যাত্রীদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় । গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হচেছে । সারাদিনে কখনও 100, কখনও 200, কখনও 300টি বিমান দেরিতে ছাড়ছে ।
30টির বেশি ট্রেন দেরিতে চলছে
কুয়াশার কারণে ট্রেন 26 ঘণ্টা দেরিতে চলছে । এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখের চেয়ে একদিন দেরিতে চলছে ট্রেন । এতে করে যাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন । রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার 30টি ট্রেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে চলছে । ট্রেন নম্বর 20818 নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস 14 জানুয়ারি নয়াদিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু এই ট্রেনটি 26 ঘণ্টা 15 মিনিট দেরি করেছে ৷ একদিন পরে 15 জানুয়ারি সন্ধ্যা 7:15 মিনিটে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভুবনেশ্বর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে । কানপুর সেন্ট্রাল পৌঁছনোর সময় এই ট্রেনটি 30 ঘণ্টা দেরি করেছে । 16 জানুয়ারি সকালে এই ট্রেনটি 31 ঘণ্টা দেরি করে প্রয়াগরাজ জংশনে পৌঁছেছে । অন্যদিকে ভুবনেশ্বর থেকে নয়াদিল্লিগামী তেজস এক্সপ্রেসও একদিন দেরিতে চলছে ।
উত্তর রেলওয়ের তথ্য অনুসারে, 16 জানুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লির দিকে আসা 30টি ট্রেন 6 ঘণ্টা 30 মিনিট পর্যন্ত দেরিতে চলছে । এই ট্রেনগুলির মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস সাড়ে 6 ঘণ্টা দেরিতে চলছে । আজমের- কাটরা পূজা এক্সপ্রেস সাড়ে 6 ঘন্টা, আজমগড়-দিল্লি জংশন কাইফিয়াত এক্সপ্রেস 2 ঘণ্টা, পুরী-নিজামুদ্দিন পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস 6 ঘণ্টা, সহরসা-নয়াদিল্লি বৈশালী এক্সপ্রেস দেড়ঘণ্টা, হায়দ্রাবাদ-নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস সাড়ে 6 ঘণ্টা, কাটিহার-অমৃতসর এক্সপ্রেস 5 ঘণ্টা, কামাখ্যা-দিল্লি জংশন ব্রহ্মপুত্র মেল 4 ঘণ্টা দেরিতে চলছে, মানিকপুর-নিজামুদ্দিন এক্সপ্রেস 2 ঘণ্টা, আম্বেদকর নগর-কাটরা এক্সপ্রেস 2 ঘণ্টা দেরিতে চলছে । এছাড়া অন্যান্য ট্রেনও দেরিতে চলছে । এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ৷
আরও পড়ুন:
- 3 ঘণ্টার বেশি দেরি হলেই বিমান বাতিল করা যাবে, উড়ান সংস্থাকে অনুমতি ডিজিসিএ'র
- ঘন কুয়াশায় ব্যাহত পরিষেবা! দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে যাত্রীদের যোগাযোগের পরামর্শ কর্তৃপক্ষের
- ঘন কুয়াশায় আরও কমল দৃশ্যমানতা, দিল্লিতে জারি শৈত্যপ্রবাহ; ব্যাহত বিমান পরিষেবা