কানকের (ছত্তিশগড়),22 জুলাই: মদ্যপ অবস্থায় স্বামীকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে খুনের অভিযোগ স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে ৷ শুধু আঘাত করাই নয়, টানা চারদিন ধরে বাড়িতে রেখেই স্বামীর চিকিৎসা করে অভিযুক্ত মহিলা ৷ গত 19 জুলাই বাড়িতেই মৃত্যু হয় আহত ব্যক্তির ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার আমাবেদা থানার রাই গ্রামে ৷
জানা গিয়েছে, গত 16 জুলাই বিকেলে মদ্যপ স্ত্রী মানকি পরচাপির সঙ্গে বচসা হয় সাগারাম পরচাপি নামে ওই ব্যক্তির ৷ সেই বচসার সময়ই মানকি তাঁর স্বামীর মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে ৷ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার 5 সন্তান রয়েছে এবং বর্তমানে সে গর্ভবতী ৷
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বছর তিরিশের মানকি পরচাপি ৷ বাড়ি ফিরতেই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় সাগারাম পরচাপির ৷ জানা গিয়েছে, মানকি পরচাপির নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যেস ছিল ৷ অভিযোগ, বচসা চলাকালীন মানকি কুড়ুল নিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করে ৷ তার জেরে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান স্বামী ৷ এই অবস্থায় মানকি তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু করেন ৷
পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে মানকি পরচাপি জানিয়েছেন, রক্ত বন্ধ করতে ঘরোয়া টোককা ব্যবহার করে প্রথমে সাগারামের মাথায় ব্যান্ডেজ করে ৷ এরপর এক গুনিনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর থেকে ভেষজ ওষুধ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু করে ৷ গুনিনকে স্বামীর আহত হওয়ার কথাও বলে সে ৷ শেষমেশ 19 জুলাই রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় সাগারাম পরচাপির ৷ সেই সময় মানকি পুলিশে খবর দেননি ৷ বরং গোপনে সাগারামের শেষকৃত্য করার প্রস্তুতি শুরু করে দেন ৷ কিন্তু, ততদিনে বিষয়টি গ্রামবাসীরা জেনে যাওয়ায় বিপত্তি বাঁধে মানকির জন্য ৷
আরও পড়ুন:স্ত্রীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী
গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যান। খবর যায় পুলিশেও ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাগারামের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ পাশাপাশি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মানকিকে পর গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে মানকি জানিয়েছে, তার সঙ্গে স্বামীর কোনও সমস্যা ছিল না ৷ কিন্তু, মদ্যপ অবস্থায় থাকায় সাগারামের মাথায় আঘাত করে ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে মানকিকে গ্রেফতার করা হলেও, তার পঞ্চম সন্তান মাত্র দেড় বছরের ৷ ফলে শিশুটিকে তার সঙ্গেই রাখতে হচ্ছে ৷