জম্মু, 24 সেপ্টেম্বর : জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তায় অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ড্রোন (Drone) ৷ এমনটাই মনে করেন জম্মু সেক্টরের সিআরপিএফ-এর (CRPF) আইজি (Inspector General) পি এস রনপাইস (P. S. Ranpise) ৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, নয়া এই সমস্যা মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীগুলি ৷ কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়েও কৌশল তৈরি করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন :Militant killed : বারামুল্লায় পুলিশের গুলিতে খতম এক জঙ্গি
প্রসঙ্গত, ইদানীং মানববিহীন ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে ৷ এই প্রযুক্তি নিরাপত্তাবাহিনী ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাজ সহজ করলেও একই সুবিধা ভোগ করছে জঙ্গি সংগঠনগুলিও ৷ তাদের হাতেও ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চলে আসায় চিন্তা বাড়ছে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির ৷ কীভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়, তা নিয়ে লাগাতার নতুন নতুন রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে ৷
ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গি হামলা রুখতে নিরাপত্তার বহর বাড়িয়েছে সিআরপিএফ-ও ৷ জম্মু-কাশ্মীরে যে তীর্থস্থান ও ধর্মস্থানগুলি রয়েছে, সেই জায়গাগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ এইসব কেন্দ্রগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ সামনেই রয়েছে নবরাত্রির উৎসব ৷ তার আগে যাতে এই ধরনের তীর্থক্ষেত্রগুলিতে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে সিআরপিএফ ৷ তাছাড়া, সিআরপিএফ-এর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আধাসামরিকবাহিনীকেও নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ সন্ত্রাসবাদকে দমন করতেই জম্মু-কাশ্মীরে একজোট হয়ে কাজ করছে তারা ৷
আরও পড়ুন :J&K encounter : ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর, সেনা সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত 3 জঙ্গি
জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ককে পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে সিআরপিএফকে ৷ বাহিনীর জওয়ানরা যে শুধুমাত্র যান চলাচলকে স্বাভাবিক রাখতেই সাহায্য করেন, তাই নয় ৷ তাঁরা সর্বক্ষণ তাঁদের চোখ, কানও খোলা রাখেন ৷ যাতে কোনও অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশ করতে না পারে ৷