উত্তরকাশী, 22 নভেম্বর: যমুনোত্রী হাইওয়ের সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া 41 জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে মঙ্গলবার সারারাত খনন কাজ অব্যাহত ছিল। বুধবার রাত পর্যন্ত ছয়টি 800 মিলিমিটার পাইপ অগার মেশিন দিয়ে টানেলে প্রবেশ করানো হয়েছে বলে খবর। সিল্কিয়ারা টানেলে এখনও 50 মিটার পর্যন্ত খননও করা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে টানেলের ভিতরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা প্রবেশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ সপ্তম পাইপের ওয়েল্ডিংয়ের কাজও এই মুহূর্তে জোর কদমে চলছে বলে জানা গিয়েছে। পাইপটি মোট 62 মিটার পর্যন্ত ঢোকানো হবে ৷ তবে ড্রিলিং ইতিবাচক দিকেই এগোচ্ছে বলে খবর ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উদ্ধার অভিযানের জন্য বুধবার গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
একই সঙ্গে, টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অডিও কমিউনিকেশন সেটআপও তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং এসডিআরএফ যৌথভাবে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করেছে বলে খবর। এর মাধ্যমে সব শ্রমিককে চিকিৎসকের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন ৷ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহায়তাও চাওয়া হচ্ছে।
গত 12 নভেম্বর যমুনোত্রী হাইওয়েতে নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা টানেলে ভূমিধসের পরে 41 জন শ্রমিক ভিতরে আটকা পড়েন। তাদের উদ্ধারে প্রথমে ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করা হলেও তাতে প্রশাসন সফল হয়নি। এরপর দেশীয় অগার মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু হয়। কিন্তু মাত্র 7 মিটার ড্রিলিং করার পরে, যন্ত্রটির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ায় তাও সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এরপর শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আমেরিকান অগার মেশিন দিয়ে আসা হয়েছে।