পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Rare Surgery in AIIMS: বিরল অসুখ নিয়ে জন্ম, বাংলাদেশি একরত্তিকে নতুন জীবন দিলেন এইমসের চিকিৎসকরা

তিনমাসের বাংলাদেশি শিশুর (Bangladeshi Baby) জটিল ও বিরল অস্ত্রোপচার (Rare Surgery) করলেন দিল্লির এইমসের (AIIMS Delhi) চিকিৎসকরা ৷ নতুন জীবন ফিরে পেল একরত্তি ৷

doctors of AIIMS Delhi successfully done a Rare Surgery on a three month old Bangladeshi Baby
ফাইল ছবি ৷

By

Published : Dec 18, 2022, 2:24 PM IST

নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর:প্রতিবেশী ভারতে এসে নতুন জীবন পেল একরত্তি ৷ মাত্র তিনমাস বয়সি ওই বাংলাদেশি শিশুর (Bangladeshi Baby) বিরল, জটিল ও সফল অস্ত্রোপচার (Rare Surgery) করলেন দিল্লির এইমসের (AIIMS Delhi) চিকিৎসকরা ৷ হাসপাতাল (All India Institute Of Medical Sciences) সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই এক বিরল অসুখে আক্রান্ত ছিল ওই শিশু ৷ তিনমাস মাস আগে যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন বাংলাদেশের নাগরিক আবিদ আজাদের স্ত্রী ৷ একটি শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও অন্যজনের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা দেখা যায় ৷ সেই শিশুটির মাথার পিছন দিকে ছিল বিরাট একটি সিস্ট ! আকারে সেটি শিশুর মাথার থেকেও বড় ! এর ফলে শিশুটির বৃদ্ধিও স্বাভাবিকভাবে হচ্ছিল না ৷ এইমসের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির মস্তিষ্কের সেই বর্ধিত অংশ কেটে বাদ দিয়েছেন ৷

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির এই অবস্থাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়, 'জায়ান্ট অক্সিপিট্যাল এনসেফালোসেল' (Giant Occipital Encephalocele) ৷ এটি একটি বিরল অসুখ ৷ এক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্ক এবং ঝিল্লির (Membranes) একটি অংশ সম্প্রসারিত হয়ে থলি বা বস্তার আকার নেয় ৷ সেই 'বস্তা'র 'খোলা মুখ'টি জুড়ে থাকে মাথার খুলির সঙ্গে ৷ সময় মতো চিকিৎসা না-করালে যেকোনও সময় বিরাট আকারের এই সিস্টটি ফেটে যেতে পারে ৷ তা থেকে রোগীর মেননিজাইটিস এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ৷ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি এইমসের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক দীপক কুমার গুপ্তা ৷

আরও পড়ুন:বিরল অস্ত্রোপচার, 2 বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে থাকা হাড় বের করলেন চিকিৎসকরা

ডা. গুপ্তা জানান, এইমসের চিকিৎসকরা বাংলাদেশি ওই শিশুর মাথার পিছনের অংশ থেকে সম্প্রসারিত অংশটি কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছেন ৷ সেইসঙ্গে, মস্তিষ্ক ও খুলির ওই অংশটি ঢেকেও দেওয়া হয়েছে ৷ এই বিরল অসুখের জন্য এতদিন বাচ্চাটির মাথার পিছনে একটি পেল্লায় বলের মতো ফোলা অংশ ছিল ৷ ফলে তাকে ঠিকমতো শোওয়ানো যেত না ৷ যেকোনও সময় ওই অংশটি ফেটে গেলে শিশুটিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ত ৷ তার মস্তিষ্কের কলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা ছিল ৷

শিশুটির বাবা দু'মাস আগেই ডা. গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ বাচ্চার অবস্থা দেখে দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা ৷ গত 12 ডিসেম্বর তার অস্ত্রোপচার করা হয় ৷ সেই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে ৷ একরত্তি এখন ভালো আছে ৷ এবার সে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠবে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details