নয়াদিল্লি, 27 ডিসেম্বর: উত্তর ভারতে বজায় রয়েছে কড়া শীতের দাপট ৷ আর তার জেরে বুধবারও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে জাতীয় রাজধানী ৷ রাজধানীর ঘুম ভাঙে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ঝাপসা সকালে ৷ স্বভাবতই এর জেরে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ ৷ দৃশ্যমানতা একেবারে নেই বললেই চলে ৷ ফলে যানবাহন খুবই ধীর গতিতে চলছে ৷ একই সঙ্গে রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ উত্তর ভারতের প্রায় সব দূরপাল্লার ট্রেনই দেরিতে চলছে ৷ বিশেষত, দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকায় ট্রেন পরিষেবার উপর দারুণ প্রভাব পড়েছে ৷ গতকালের মতো আজও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে দৃশ্যমানতা শূন্যে থাকায় ৷
ভারতীয় মৌসম ভবন আজ অর্থাৎ, 27-29 ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা এবং সঙ্গে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে ৷ একই সঙ্গে উত্তর রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের উত্তরভাগেও শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের প্রায় সব ছোট-বড় শহরে দৃশ্যমানতা বেশ কম ৷ বিশেষত, বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে তা শূন্য হিসেবে ধরা হচ্ছে ৷ এর মধ্যে অন্যতম অমৃতসর। শহরের বিমানবন্দর এলাকার দৃশ্যমানতা শূন্য। পাতিয়ালা-লখনউ-বারেলি-প্রয়াগরাজের দৃশ্যমানতা 25 মিটার। বারাণসীর দৃশ্যমানতা 50 মিটার ৷
ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় রাজধানী দিল্লিতে দৃশ্যমানতা ছিল 50 মিটার ৷ তবে, বায়ুসেনার ঘাঁটি পালাম বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা তার থেকে কিছুটা বেশি, 125 মিটার ৷ সেই তুলনায় বেশি ছিল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে 200 মিটার এবং কোটায় 500 মিটার ৷ তবে, দিল্লির ধৌলা কুন, ইন্ডিয়া গেট, বারাপুল্লাহ এবং দিল্লি-নয়ডা সীমানায় দৃশ্যমানতা প্রায় না থাকার সমান ৷ মৌসম ভবন মনে করছে বেলা বাড়লে, দৃশ্যমানতা কিছুটা বাড়তে পারে ৷ কিন্তু, তার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম ৷ এর প্রধান কারণ, দিল্লির হাওয়ায় মিশে থাকা দূষণ ৷