নয়াদিল্লি, 7 সেপ্টেম্বর: নয়াদিল্লিতে জি20 শীর্ষ সম্মেলন শুরুর কাউন্টডাউন প্রায় শেষ লগ্নে ৷ প্রস্তুতি, ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ এবং বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত রাজধানী । সারা বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এই আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ৷ ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার বাকি আর মাত্র 12 ঘণ্টা ৷ চার দিনের জন্য অন্য এক রূপান্তরিত দিল্লিকে দেখার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর মানুষজন ৷
দিল্লি পুলিশ অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে শহর এবং এর বিশিষ্ট অতিথিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কোনও কসরত বাকি রাখছে না । আজ রাত 9টা থেকে ভারী, মাঝারি এবং হালকা পণ্যের যানবাহন দিল্লিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে । এ ছাড়াও ট্যাক্সি এবং অটোগুলির ক্ষেত্রে শনিবার ভোর 5টা থেকে একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে ৷
দিল্লি সরকারের জারি করা একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে আগামিকাল সকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত সমগ্র নতুন দিল্লিকে একটি 'নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল' হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ এই অঞ্চলের মধ্যে, শুধুমাত্র প্রকৃত বাসিন্দা, অনুমোদিত যানবাহন এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার যানবাহন, যেমন হোটেল, হাসপাতাল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার জন্য হাউসকিপিং, কেটারিং এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের, ইন্ডিয়া গেট এবং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে ।
শীর্ষ সম্মেলনের কারণে দিল্লির দৈনন্দিন রুটিনে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে । এই সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বাজার, খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক সরবরাহ বন্ধ থাকবে । সুইগি, জোমাটো, অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিষেবাগুলিকে নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের মধ্যে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না ৷ ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় আইটেম সরবরাহ করা ছাড়া গোটা শহর যাতে সুরক্ষিত এবং সুশৃঙ্খল থাকে তা নিশ্চিত করা হবে ।
গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বনেতাদের আগমনের মাধ্যমে জি20 শীর্ষ সম্মেলনের বিশ্বব্যাপী তাৎপর্য অনুভূত হচ্ছে ৷ নাইজেরিয়ার প্রতিনিধিদল প্রথম আগতদের মধ্যে ছিল ৷ মেক্সিকান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল আজ নতুন দিল্লিতে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে । মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সহ বেশিরভাগেরই আগমন আগামিকালের জন্য নির্ধারিত রয়েছে । ভারতের এত শক্তিশালী নেতাদের সমাবেশ বিশ্ব মঞ্চে তার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রমাণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের ।
জি20 শীর্ষ সম্মেলনের নিরাপত্তা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় ৷ দিল্লি একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে যাবতীয় খরচ করেছে । স্নাইপার-সহ হাজার হাজার কর্মী সমন্বিত একটি উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা কর্ডন মোতায়েন করা হবে । ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলি স্ট্যান্ডবাই থাকবে ৷ রাজধানীর উপর আকাশসীমায় মনুষ্যবিহীন বিমান এবং ড্রোন-সহ যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য সজাগভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে ।