নয়াদিল্লি, 5 নভেম্বর:দেশের রাজধানী দিল্লির বায়ুর মান এখনও 'গুরুতর'(Severe) শ্রেণির মধ্যেই রয়েছে ৷ এই নিয়ে টানা তিনদিন (3 নভেম্বর, 2022 থেকে 5 নভেম্বর, 2022 পর্যন্ত) দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সংশ্লিষ্ট মহল ৷ তবে, খুব সামান্য পরিমাণে হলেও এদিন রাজধানী শহরের বায়ুর মান কিছুটা উন্নত হয়েছে ৷ বায়ুর মান নির্ধারক সূচক (Air Quality Index) বা একিউআই (AQI)-এ তার প্রমাণ মিলেছে ৷ শনিবার সকালে দিল্লির একিউআই ছিল 431 ৷ 24 ঘণ্টা আগে এই মান ছিল 472 ৷
পরিস্থিতি ভালো নয় জাতীয় রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল (National Capital Region) বা এনসিআর (NCR)-এরও ৷ এদিন সকাল 7টায় নয়ডা এবং গুরুগ্রামে বায়ুর মান ছিল যথাক্রমে 529 এবং 478 ৷ অর্থাৎ সেখানকার অবস্থা দিল্লির থেকেও সঙ্গীন ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে এই দুই এলাকার বায়ু 'অত্যন্ত বিষাক্ত' (Highly Toxic) ৷ শুক্রবার পশ্চিম দিল্লির ধীরপুর এলাকার একিউআই ছিল 534 ৷ বিশেষজ্ঞরা দিল্লির এই বেড়ে চলা দূষণের জন্য খড় পোড়ানোর রীতিকে বহুলাংশে দায়ী করছেন ৷
আরও পড়ুন:বিষ-বায়ুতে ঢাকল দিল্লি, 'গুরুতর' দূষণে প্রাথমিক স্কুল বন্ধের নির্দেশ কেজরির
প্রসঙ্গত, একিউআই অনুসারে, বায়ুর মান 0 থেকে 100-এর মধ্যে থাকলে তাকে ভালো বা স্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হয় ৷ এই মান যদি 100 থেকে 200-এর মধ্যে থাকে, তাহলে তা হল মধ্যম প্রকৃতির বায়ু ৷ একিউআই-তে বায়ুর মান 200 থেকে 300-এ পৌঁছে গেলে তা হয়ে যায় খারাপ বায়ু ৷ আর 300 থেকে 400-এর মধ্যে থাকা বায়ুর মানকে খুব খারাপ বলে ধরা হয় ৷ কিন্তু, তা যদি 400 থেকে 500-এর মধ্যে থাকে, তাহলে সেই বায়ুর মান গুরুতর ৷
অর্থাৎ দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার অবস্থা এখন ভয়াবহ ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে দূষণের জেরে দিল্লিবাসীর মধ্যে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দিয়েছে ৷ শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালার মতো উপসর্গ ক্রমশ বাড়ছে ৷ বাড়ছে সর্দি, কাশিও ৷ সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশু, প্রবীণ এবং বিভিন্ন অসুখে আক্রান্তদের ৷
এদিকে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ বায়ুদূষণের জন্য বিজেপি দিল্লির আপ সরকারকেই দায়ী করছে ৷ অন্যদিকে, আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর দলীয় সহকর্মী তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরাসরি কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা ৷