দিল্লি, 27 জানুয়ারি : রাজপথে তখন চলছিল সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড ৷ অপরদিকে তখন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালির জেরে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল দিল্লি ৷ বেলা গড়াতেই সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় ৷ লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন কৃষকরা ৷ নিশান সাহিবের পতাকা (শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকা) উত্তোলন করা হয় ৷ বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়া হয় ৷ ভাঙচুর চালানো হয় বেসরকারি বাসে ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে ৷ দফায় দফায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী ।
গতকালের সংঘর্ষে 300 জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷ তাদের তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে ৷ অধিকাংশ ঘটনায় ঘটেছে মুকরবা চক, গাজিপুর, এ পয়েন্ট আইটিও, সীমাপুরী, নাংলোই টি পয়েন্ট, টিকরি সীমান্ত ও লালকেল্লায় ৷ সংঘর্ষে 300 জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন ৷ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন : আন্না-নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দেখল দিল্লি
পুলিশের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে 26 জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মার্চ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয় ৷ এই নিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয় কৃষক সংগঠনের নেতাদের ৷ তাঁরা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে সম্মত রুট অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন :রাজনীতির লোকেরা কৃষক আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন: টিকায়েত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, "কৃষক-দিল্লি পুলিশের যৌথ সম্মত রুট অনুযায়ী 26 জানুয়ারি সকাল 8টা 30 মিনিটে প্রায় ছয়-সাত হাজার ট্রাক্টর জমা হওয়ার কথা ছিল সিঙ্ঘু সীমান্তে ৷ ট্রাক্টর ব়্যালি করে যাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় গান্ধি ট্রান্সপোর্ট নগরে । সেখান থেকে ব়্যালিটি ডান দিকে যাওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু প্রস্তাবিত সেই রুটে না গিয়ে দিল্লি পুলিশের বাধা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল দিল্লির দিকে মার্চ করার চেষ্টা করে নিহাঙ্গ(সশস্ত্র শিখ যোদ্ধা) নেতৃত্বধীন কৃষকরা ৷ তখনই পুলিশকর্মীরা বাধা দিলে তাঁদের উপর চড়াও হন কৃষকরা ৷ পাশাপাশি মুকরবা চক ও ট্রান্সপোর্ট নগরের মাঝে তৈরি একাধিক ব্যারিকেড ও ভেঙে দেওয়া হয় ৷ একই ঘটনা সামনে আসে গাজিপুর, টিকরি সীমান্তে ৷"