নয়াদিল্লি, 6 নভেম্বর: ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে দিল্লি-এনসিআর এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলি ৷ এ বার তারই প্রভাব পড়ল আগরার তাজমহলে ৷ দূষণ ও ঘন কুয়াশার কারণে এ বার দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে তাজমহলে ৷ সামান্য দূরত্ব থেকে দেখাই যাচ্ছে না পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম আশ্চর্যকে ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাজমহল দেখতে যাওয়া পর্যটকরা ৷ বাতাসের গুণমানের মাত্রা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ৷ আর তার জেরে তাজমহল দেখতে আসা পর্যটকদের ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হল না ৷
তেমনই এক পর্যটক মাধবী বলেন, ‘‘আমরা তাজমহল দেখতে এসেছিলাম ৷ কিন্তু, বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে ৷ ফলে আমাদের তাজমহল দেখা হল না ৷ এই পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষ এবং সরকার উভয়কেই দায় নিতে হবে ৷’’ আরেক পর্যটক আশিস সিং নিজের হতাশা প্রকাশ করলেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি তাজমহল দেখতে এসেছিলাম ৷ প্রায় একঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও ভিতরে ঢুকতে পারলাম না পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় ৷ যমুনা নদীর পরিচ্ছন্নতার দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে ৷’’
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা খারাপের থেকে খুব খারাপের দিকে এগোচ্ছে ৷ সোমবার সকালেও দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকায় বায়ুরদূষণের মাত্রা খুব খারাপ পর্যায়ে ছিল ৷ সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রার সূচক 450 পার করে গিয়েছে ৷ অর্থাৎ, রেড-লাইন পার করেছে সূচক ৷ সোমবার সকালে গড় দূষণমাত্রা ছিল 471 ৷ এর ফলে দিল্লি ও এনসিআরে বসবাসকারী নাগরিকদের স্বাস্থ্যের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:দিল্লির বাতাসে বিষ, হিমালয়ের কোলে শান্ত শহরগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন পর্যটকরা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে সরকারি কর্মীদের 50 শতাংশকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম ঘোষণা করেছে ৷ পরবর্তী ঘোষণা আসা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে ৷ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি ও এনসিআর-এর দূষণমাত্রা গত 27 অক্টোবর থেকে 200 সূচকের উপরে উঠে গিয়েছে ৷ ফলে আগামী দু’মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷