পটনা, 18 এপ্রিল: বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায় বিষমদ পান করে অন্তত পক্ষে 40 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ যদিও 27 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৷ গত 15 এপ্রিল বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার তুরকাউলিয়া, হরসিদ্ধি, সুগাউলি ও পাহাড়পুর এলাকায় বিষমদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ ৷ ঘটনায় একটি সূত্রের তরফে ইটিভি ভারতকে জানিয়েছে, এই ঘটনায় একাধিক থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেন্ড করেছে বিহার প্রশাসন ৷
জেলার সদর ও অন্যান্য হাসপাতালে বহু মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে ৷ ফলে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ এই ঘটনায় জেলা পুলিশ প্রশাসন 9 জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত 5টি অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে মোট 174 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিষমদ বিক্রি এবং তা পান করে মৃত্যুর ঘটনায় ৷ সোমবার রাতে জেলা পুলিশ সুপারের দফতর থেকে একথা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷
জেলা প্রশাসনের তরফে 7 জন পুুলিশ আধিকারিককে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ কেন এই গাফিলতি পুলিশের তরফে হল ? তার জবাব চাওয়া হয়েছে ৷ 15 এপ্রিল বিষমদ পান করে মৃত্যুর ঘটনার পর পুলিশ প্রায় 600টি জায়গায় হানা দেয় ৷ যেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিষমদ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মোট 1 হাজার 729 লিটার দেশী মদ এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি করা 50 লিটার বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে 2 হাজার 220 লিটার রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে এই তল্লাশি অভিযানে ৷
আরও পড়ুন:মদ খেলে মরবে, কোনও আর্থিক সাহায্য নয়; বিষমদ-কাণ্ডে মন্তব্য নীতীশের
অতীতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিষমদ পান করে মৃতদের পরিবারকে কোনও সাহায্য করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন ৷ তিনি এমনটাও বলেন, ‘‘মদ খেলে মৃত্যু হবেই ৷ কোনও সাহায্য করা হবে না ৷’’ উল্লেখ্য, 2016 সালের পর থেকে বিহারে মদ বিক্রি ও পান করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ৷ তারপর থেকে বেআইনি মদ বিক্রি আকছাড় হচ্ছে সে রাজ্যে ৷ কিন্তু, নীতীশ কুমারের সেই মন্তব্যের পর বিতর্ক তৈরি হয় ৷ সোমবার 180 ডিগ্রি ঘুরে সেই অবস্থান বদল করেছেন নীতীশ ৷ তিনি জানিয়েছেন, শর্তসাপেক্ষে মৃতদের পরিবারকে 4 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে ৷