অমরাবতী (অন্ধ্রপ্রদেশ), 30 অক্টোবর: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 14 ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 100 জন। উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে ৷ সাংবাদিকদের সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন ইস্টকোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বজিৎ সাহু ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়েই আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
রবিবার রাতে সোশাল মিডিয়ার একটি পোস্টে তিনি লেখেন, "আরেকটি বিপর্যয় ৷ আবারও ট্রেনে সংঘর্ষ ৷ এবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরমে ৷ দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 8 জন মারা গিয়েছেন। 25 জন আহত হয়েছে ৷ সংঘর্ষে কয়েকটি বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে ৷ অসহায় যাত্রীরা কোচে আটকে রয়েছেন ৷ সবথেকে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে ৷ হতাহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা রইল ৷ দ্রুত উদ্ধার কাজ ও অবিলম্বে তদন্ত হোক ৷ রেলের ঘুম কবে ভাঙবে ?"
রবিবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী ট্রেন ৷ 08504 বিশাখাপত্তনম-রায়গড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে ওই একই রুট দিয়ে যাওয়া 08532 বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংঘর্ষ হয় ৷ তার ফলে লাইনচ্যুত হয় বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গড়াগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের 3টি বগি ৷ খবর পেতেই শুরু হয় উদ্ধারের কাজ ৷ স্থানীয় প্রশাসন ও এনডিআরএফকে অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যের জন্য জানানো হয় ৷ বিভাগীয় ম্যানেজার জানিয়েছেন, সাহায্য করার জন্য ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে অন্য ট্রেন পাঠানো হয়েছে ৷ পরে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ে।
ট্রেন দুর্ঘটনার অব্যবহিত পর এ নিয়ে আপডেট দিতে গিয়ে রেলের ওয়াল্টেয়ার বিভাগের ম্যানেজার সৌরভ প্রসাদ বলেন, "মাঝলাইনে আমাদের দুটি চলমান প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছিল ৷ পিছনের ট্রেনটি এসে সিগন্যাল অতিক্রম করার ফলে সামনের ট্রেনের তিনটি ও পিছনের ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় ৷ এই বগিগুলিতে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ ৷ আমাদের অগ্রাধিকার হল ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা ৷ এসডিআরএফ, এনডিএফ ও আমাদের দল তিনটিই এখন কাজ করছে ৷ উদ্ধার কাজ চলছে ৷"
আরও পড়ুন : অন্ধ্রে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত কমপক্ষে 6