বনগাঁ , 14 মার্চ : হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বনগাঁর এক যুবকের । মৃতের নাম কেনারাম ভট্টাচার্য (20) । রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে যুবকের দেহ বনগাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা । অ্যাম্বুলেস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,"ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই যুবকের দেহ জোর করে হায়দরাবাদ থেকে বনগাঁ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর তাতেই খুনের তত্ত্ব জোরালো হয়েছে ।" খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বনগাঁ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ।
আরও পড়ুন :ডান কাঁধের পিছনে গেঁথে ছুরি, সফল অস্ত্রোপচার প্রাণরক্ষা এক ব্যক্তি
প্রসঙ্গত , মাস খানেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন ওই যুবক । বাড়ি বনগাঁর কালোপুরের জিয়ালা গ্রামে । পরিবারের তরফে জানানো হয়, পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক যুবক জোর করে হুমকি দিয়ে কেনারামকে হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে নিয়ে যায় । তিনদিন আগে ওই যুবক বাড়িতে ফোন করে জানায়, কাজের জায়গায় তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে । পরিবারের কাছে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদনও জানায় সে । মৃতের মায়ের অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক ব্যক্তি ফোনে কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে যুবকের পরিবারের কাছে । ওই টাকা না দিলে ওই যুবককে ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেয় সে । এরপরই শনিবার সকালে হায়দরাবাদে ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের । ফলে, এই ঘটনার সঙ্গে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন মৃতের পরিবার । তাঁরা নিশ্চিত, যুবককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুনের তত্ত্ব ধামাচাপা দিতেই দেহ তড়িঘড়ি হায়দরাবাদ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমনই অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার ।