দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে হেনস্থার ঘটনার ভিডিয়ো নয়াদিল্লি, 20 জানুয়ারি: দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালকে নিগ্রহের ঘটনায় নয়া তথ্য (Swati Maliwal molestation case) ৷ সামনে এসেছে বুধবার রাতের ওই ঘটনার ভিডিয়ো ৷ স্বাতীর দাবি, তাঁর দলের সদস্যরাই ওই ভিডিয়োটি তুলেছিলেন ৷ উল্লেখ্য, এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ওই গাড়ির চালক হরিশ চন্দ্রকে ৷ ধৃতকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
ঠিক কী ঘটেছিল ওই দিন রাতে?
স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, রাতের দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তার অবস্থা ঠিক কী, তা খতিয়ে দেখতেই বুধবার রাতে তিনি ও তাঁর দলের সদস্যরা বেরিয়েছিলেন ৷ এইমস-এর উলটো দিকে রিং রোডে ফুটপাথের ধারে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বাতী ৷ একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কয়েকটি গাড়ি তাঁর কাছে এসে দাঁড়ায় এবং তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ৷ স্বাতী জানিয়েছেন, তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ৷
কিন্তু, খানিক পরেই তাঁর সামনে গাড়ি নিয়ে আসেন হরিশ চন্দ্র নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ৷ লোকটি তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে স্বাতী না-বলেন ৷ এরপর সে গাড়ি নিয়ে চলে গেলেও, 10 মিনিট পর ফের ফিরে আসে ৷ স্বাতী তখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, নিষেধ করার পরেও তিনি কেন ফের ফিরে এলেন ৷ এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে কিছু বাক্য বিনিময় হয় ৷ স্বাতীর অভিযোগ, ওই ব্যক্তির মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল ৷ গাড়িতে কয়েকটি গ্লাসও রাখাছিল ৷
আরও পড়ুন: স্বাতী মালিওয়ালের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অভিযুক্তের জেল হেফাজত
স্বাতী মালিওয়ালের দাবি, এরপর তিনি ওই গাড়ির জানলার কাছে গিয়ে ওই চালককে আটকানোর চেষ্টা করেন, জানলা দিয়ে ভিতরে হাত বাড়ান ৷ অভিযোগ, সে সময়ে ওই ব্যক্তি জানলার কাঁচ তুলে দেন ৷ ফলে হাত আটকে যায় স্বাতীর ৷ সেই অবস্থাতেই প্রায় 10-15 মিটার তাঁকে টেনে নিয়ে যায় ওই গাড়ি চালক ৷ পরে স্বাতীর দলের অন্য এক সদস্য এসে ওই গাড়ি থামায় ৷
স্বাতী মালিওয়াল স্পষ্ট জানিয়েছেন, মাত্র কয়েকদিন আগে অঞ্জলির ঘটনার পরেও দিল্লি পুলিশের রাতের নিরাপত্তা যে শোধরায়নি, এটাই তার প্রমাণ ৷ দিল্লিতে রাতে মেয়েদের নিরাপত্তা থেকেই যাচ্ছে ৷ একা কোনও মেয়েকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে এভাবেই তাঁদের কটূ মন্তব্য ও হেনস্থার শিকার হতে হয় ৷ স্বাতী জানিয়েছেন, তিনি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ৷ তাঁর সঙ্গে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে অন্যদের সঙ্গে কী হতে পারে তা ভেবে তিনি চিন্তিত ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷