নয়াদিল্লি, 10 মে: ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে দেশজুড়ে ৷ এক-একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের একটি মাহাত্ম্য রয়েছে ৷ কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ ? কারা করে এই নামকরণ ? মোকার পরের ঘূর্ণিঝড়ের নামই বা কী ? দেখে নেওয়া যাক ৷
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন অনুসারে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারীরা বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়কে একটি নাম দেন । সাধারণভাবে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিয়ম অনুসারে এই ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করা হয় । ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের একটি সূত্র 2004 সালে ঠিক করা হয়েছিল । এই অঞ্চলের আটটি দেশ - বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড - এই নামগুলি ঠিক করে ৷ যখনই একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তখন ক্রমানুসারে নির্ধারিত হয় যে, কোন দেশ তার নামকরণ করবে ।
নামগুলি যাতে মনে রাখা যায় এবং উচ্চারণে সহজ হয়, সে জন্য সহজ নাম বেছে নেওয়া হয়, যেগুলি অবশ্যই আপত্তিকর বা বিতর্কিত হবে না । এগুলি বিভিন্ন ভাষা থেকেও বেছে নেওয়া হয়, যাতে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেরা সেই নামের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকার নাম দিয়েছে ইয়েমেন ৷ কফি উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত সেখানকার একটি সমুদ্র বন্দরের নামে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ৷
ঘূর্ণিঝড়ের নামের বর্তমান তালিকায় বাংলাদেশ, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের অবদান রয়েছে । মোকার পরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নামটি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত, 'বিপর্যয়'।