ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়ের' গ্রাউন্ড জিরোয় ইটিভি ভারত আমেদাবাদ, 14 জুন: উপকূলের আরও কাছে এগিয়ে এল ঘূর্ণিঝ়ড় 'বিপর্যয়'। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই 30 হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। আরও বেশ কিছু মানুষকে বুধবার সরানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি যাতে সবচেয়ে কম হতে পারে তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
আবহাওয়া দফতরের অনুমান, কচ্ছের জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। সে কথা মাথায় রেখে আশপাশের 10 কিলোমিটার এলাকা ফাঁকা করে দিতে চাইছে প্রশাসন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড আছড়ে পড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে যাতে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় তার জন্য সেনা বাহিনী থেকে শুরু করে এনডিআরএফ-কে তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে বলে আশংকা সেখানেও নানা ধরনের প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুজরাত সরকারের আধিকারিদের তিনি বলেন, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণ রক্ষাকেই প্রাধান্য দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে হবে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল থেকে শুরু করে ওই এলাকার সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়করা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ছিলেন সরকারি আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, ত্রাণ-উদ্ধারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় জোর দেওয়ার কথা বলেন শাহ। তিনি জানান, উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। পানীয় জলের সংকট যাতে না হয় তার জন্য আগে থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। গুজরাতের ত্রাণ কমিশনের চেয়ারম্যান অলোক পাণ্ডে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার 30 হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার আরও কিছু মানুষকে সরানো হতে পারে ।