নয়াদিল্লি, 9 অক্টোবর: কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সোমবার বসছে নয়াদিল্লিতে৷ আজই, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে ভারতের নির্বাচন কমিশন ৷ তার আগে স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ তবে এই বৈঠকে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দেশব্যাপী জাতিগণনা নিয়েও কথা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
এই বৈঠকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দুই প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন ৷ এছাড়াও থাকবেন কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা ৷ সেখানে পাঁচ রাজ্যের ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনায় উঠে আসতে পারে কীভাবে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় ৷ আর মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে ক্ষমতায় আসা যায় ৷ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি, তেলেঙ্গানায় বিআরএস ও মিজোরামে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ক্ষমতায় রয়েছে ৷
এদিকে সম্প্রতি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি রাহুল গান্ধির ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ স্লোগান নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ৷ ওই স্লোগানের অর্থ হল, যাদের যত সংখ্যা, তাদের ততটাই অধিকার ৷ সিংভি মনে করেন এই স্লোগান আসলে সংখ্যাগুরুদের মদত দেবে ৷ এই নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যদিও এই নিয়ে যে পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক মনু সিংভি করেন, তা তিনি পরে ডিলিট করে দেন ৷
কংগ্রেস যখন জাতিগণনার উপর জোর দিচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন যে ওবিসি-দের অধিকারের কথা বলে আসলে কংগ্রেস হিন্দুদের বিভাজিত করতে চাইছে ৷ কংগ্রেসের জাতিগণনার দাবি নিয়ে বিজেপি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির সময়ের উদাহরণ টেনে এনেছে ৷ তাদের দাবি, সংসদে রাজীব গান্ধি মণ্ডল কমিশনের বিরোধিতা করেছিল ৷ বিজেপির হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডার পালটা হিসেবেই কংগ্রেস জাতিগণনার দাবি জানাচ্ছে ৷
অন্যদিকে বিহার সম্প্রতি জাতিগণনার তথ্য় সামনে এনেছে৷ তার পর শুক্রবার কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে একই ধরনের গণনা করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ৷ কংগ্রেসশাসিত আরেকটি রাজ্য ছত্তিশগড়েও একই ধরনের গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ তবে জানানো হয়েছে যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে ৷ কর্ণাটক, দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যেও কংগ্রেসের সরকার রয়েছে, সেখানেও এই গণনা হচ্ছে ৷ চলতি বছরের শেষে এই গণনার ফল সামনে আসবে ৷
এছাড়া কিছু বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে আপের সাংসদ সঞ্জয় সিংকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কংগ্রেস আপ সাংসদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিবাদ করেছে ৷ পাশাপাশি অভিযোগ করেছে, একই রকমভাবে পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আম আদমি পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে ৷ ওই রাজ্যে কংগ্রেসের কৃষক শাখার প্রধান সুখপাল খাইরাকে মাদক-মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সেই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস এই কথা বলেছে ৷ এই নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন:লাদাখে বড় জয় এনসি-কংগ্রেসের! রাজ্য ভাগের জবাব পেয়েছে বিজেপি, দাবি আবদুল্লা-মুফতিদের