কুড্ডালোর, 8 ফেব্রুয়ারি: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর (Cuddalore Fire Incident)৷ নিজের পরিবারের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল এক ব্যক্তি (Man sets his own family on fire)৷ এই ঘটনায় তিনি ছাড়াও আরও 3 জনের মৃত্যু হয়েছে (Man Sets Family on Fire)৷ জখম হয়েছেন আরও 2 জন ৷
কুড্ডালোরের চেল্লাঙ্গুপ্পাম ভেলিপিল্লায়ার কোয়েল স্ট্রিটের একটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর পায় পুলিশ । সেখানে গেলে মাত্র কয়েক মাস বয়সি দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । এই দেখে কিছুটা হকচকিয়ে যান পুলিশকর্মীরা ৷ এরপর অগ্নিদগ্ধ আরও এক নারীর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ অগ্নিদগ্ধ আরও 3 জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
এ বিষয়ে তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে কুড্ডালোর পুলিশের কাছে ৷ তারা জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগের কারণে মৃত মহিলার নাম তামিলরাসি । তাঁর বোনের পরিবারে সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে । তামিলরাসির বোনের নাম ধনলক্ষ্মী । তাঁর স্বামী সদগুরুর সঙ্গে বিবাদের কারণে তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে 4 মাসের সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন তাঁর বোন তামিলরাসির বাড়িতে ৷ তামিলরাসিরও একটি 4 মাসের সন্তান রয়েছে ৷
আরও পড়ুন:মেচেদায় বিধ্বংসী আগুন! ঝলসে মৃত্যু বাবা ও মেয়ের, আহত 5
জানা গিয়েছে, আজ সকালে সদগুরু তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান ৷ কিন্তু তার আগেই স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রল কেনেন তিনি । কথা কাটাকাটির পর স্ত্রী ও 4 মাসের শিশুর গায়ে পেট্রল ঢেলে সদগুরু আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ । এই কাণ্ড দেখে তামিলরাসি তাঁর বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন । সেই সময় সদগুরু তামিলরাসি এবং তার 4 মাসের সন্তানের গায়েও পেট্রল ঢেলে দেন ।
এরপর দেশলাই কাঠির সাহায্যে আগুন জ্বালিয়ে দেন তিনি ৷ মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে ৷ সদগুরুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা সেলভি ৷ তাঁর গায়েও আগুন লাগে ৷ আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শিশুর ৷ তামিলরাসিও তাঁর বোনকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান । গুরুতর জখম হন ধনলক্ষ্মী, সদগুরু ও সেলভি । প্রায় 90 শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তিনজনেরই ৷ তাঁদের কুড্ডালোর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷
তবে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন সদগুরুরও মৃত্যু হয় ।পুলিশ জানায়, তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে এই তথ্য উঠে এসেছে । এ ক্ষেত্রে পুলিশ প্রয়োজনীয় ভারতীয় দণ্ডবিধিতে মামলা রুজু করেছে ৷