গণ্ডা (উত্তরপ্রদেশ), 22 অগস্ট: সন্মান রক্ষার্থে মেয়ে ও তার প্রেমিক খুন করল বাবা ও ভাই ৷ ঘটনাটি রবিবার ঘটলেও পুলিশ অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছেন মঙ্গলবার ৷ উত্তরপ্রদেশের গণ্ডা জেলার ঘটনা ৷ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে পুলিশের ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর যুবকের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল পাশের আখের ক্ষেতে ৷ অন্যদিকে, মেয়ের দেহ বাড়ি থেকে 20 কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ অযোধ্যার কাছে সরযূ নদীর পাড়ে মেয়েটির বাবা কৃপারাম ও ভাই রাঘব পুড়িয়ে দেয় ৷ ঘটনায় দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ উত্তরপ্রদেশের গণ্ডার মাহনুন গ্রামের ঘটনা ৷ ধনেপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
এসপি অঙ্কিত মিত্রল জানিয়েছেন, মাহনুন গ্রামের বাসিন্দা সতীশের (19) বাবা-মা থানায় ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ৷ জানান যে, রবিবার থেকে ছেলের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা ৷ এরপরেই যে মেয়েটির সঙ্গে সতীশের সম্পর্ক ছিল, তাঁদের বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ তিনি বলেন, "সতীশের সঙ্গে যে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল, সেই পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন ৷ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, মেয়েটি সতীশকে তাঁদের বাড়িতে ডেকেছিল ৷ যখন বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ছেলেটি তাঁদের বাড়িতে এসেছে, তখন তাঁরা ভীষণভাবে রেগে যান ৷ মেয়েটির বাবা ও ভাই সতীশকে ও নিজের মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ এরপরেই সতীশ ও নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাবা ও ভাই ৷"
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল, শিবমন্দির এলাকা থেকে উদ্ধার 17টি দেহ
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর রবিবারই সতীশের দেহ ফেলে দেওয়া হয় আখের ক্ষেতে ৷ আর মেয়ের দেহ পরের দিন অর্থাৎ সোমবার বাড়ি থেকে 20 কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটির বাবা ও ভাই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এই কাজ করেছেন তাঁরা ৷