পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালে অংশ নিল 13 হাজার স্বেচ্ছাসেবক

কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি। দেশের 26 হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এটা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা ভারতের প্রথম ও একমাত্র কোভিড-19 ভ্যাকসিন যা ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের বিভিন্ন অংশে সফল ভাবে 13 হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের কথা ঘোষণাও করেছে তারা।

COVAXIN clinical trials cross 13,000 subjects
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালে অংশ নিল 13 হাজার স্বেচ্ছাসেবক

By

Published : Dec 22, 2020, 1:35 PM IST

হায়দরাবাদ, 22 ডিসেম্বর: কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের জন্য ভারত বায়োটেক 26 হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশের বিভিন্ন অংশে সফল ভাবে 13 হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের কথা ঘোষণাও করেছে তারা।

কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি। দেশের 26 হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এটা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা ভারতের প্রথম ও একমাত্র কোভিড-19 ভ্যাকসিন যা ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রথম দুই দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বেশ কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে ওই ভ্যাকসিনে।

কোভ্যাক্সিন ভারতের একমাত্র ভ্যাক্সিন, যা দেশে তৈরি হয়েছে। আইসিএমআর ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সহযোগিতায় তা করা হয়েছে। ভারত বায়েটেকের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা ইল্লা বলেন, "ভারতে ভ্যাক্সিনের এই ট্রায়াল একেবারে নজিরবিহীন। আর মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে আমরা আপ্লুত। আমরা দেশের 13 হাজার স্বেচ্ছাসেবককে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই সাহায্যের জন্য।"

প্রসঙ্গত, ভারত বায়োটেকের কর্মকাণ্ড আগেও প্রশংসিত হয়েছে। তাদের কাছে 140টি পেটেন্ট রয়েছে, তারা 16টি ভ্যাক্সিন ও 4টি বায়ো-থেরাপেউটিক্স তৈরি করে। 116টি দেশে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে এই সংস্থার। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও এই সংস্থার প্রি-কোয়ালিফিকেশন রয়েছে।

আরও পড়ুন:উদ্বেগ বাড়িয়ে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরা দুই যাত্রীর শরীরে মিলল কোভিড-19

ইতিমধ্যে তারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভ্যাক্সিনের 4 বিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করে ফেলেছে। এই সংস্থা আরও আবিষ্কারের পথে এগিয়ে চলেছে। তারা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ1এন1, রোটাভাইরাস, জাপানি এনসেফালাইটিস, ব়্যাবিস, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। আর টাইফয়েডের জন্য বিশ্বের প্রথম টিটেনাস-টক্সিড কনজুগেটেড ভ্যাকসিন।

ABOUT THE AUTHOR

...view details