নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর:মুসলিম, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের মতো তাদের ধর্মীয় স্থানগুলিও পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থাকতে হবে ৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ৷ যদিও সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে জানিয়েছে, এটি নীতির বিষয় এবং আদালত কোনওভাবেই আইনসভার কাজের মধ্যে প্রবেশ করবে না।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়কে এদিন বলে, “যথপোযুক্ত আবেদন করুন। এসব আর্জির অর্থ কী ? এই আপিল মঞ্জুর করা যায় ? এই পিটিশন প্রত্যাহার করুন এবং সঠিক আর্জি-সহ পৃথক পিটিশন ফাইল করুন যা মঞ্জুর করা যেতে পারে ৷” বেঞ্চ জানিয়েছে, এটি আদতে পুরোটাই প্রচার-ভিত্তিক মামলা ৷ একই সঙ্গে, এই মামলা কোনও মতেই রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয় বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "আপনি সংসদ সরাতে পারেন ! আপনি কি সরকারকে সরাতে পারেন ?"
আইনজীবী উপাধ্যায় অবশ্য জোর দিয়ে জানান, আদালতের উচিত তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করা ৷ যার পালটা প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা আপনাকে বলেছি এই পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি কীভাবে এই ধরনের পিটিশনকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দাবি করছেন !" এদিন বেঞ্চ আইনজীবীর আবেদনের একটি অংশ পড়ে যেখানে সরাসরি বলা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের তাদের ধর্মীয় স্থান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, "সংবিধানের 26 অনুচ্ছেদের অধীনে তাদের অধিকার রয়েছে ৷ প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সেই অধিকার রয়েছে ৷ সংবিধানও 25 অনুচ্ছেদের অধীনে সেই অধিকার দিয়েছে।"