নয়াদিল্লি, 17 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় ধৃত আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো টেস্টে বৃহস্পতিবার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির এক আদালত (Court orders narco test for Aaftab Amin Poonawala) ৷ একইসঙ্গে আফতাবকে আরও 5 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেও পাঠিয়েছে আদালত ৷ শ্রদ্ধার লিভ ইন পার্টনার আফতাব তাঁকে খুনের কথা ও দেহ 35 টুকরো করার কথা পুলিশকে জানালেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা ৷ অভিযুক্তের বক্তব্যেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি ৷ শ্রদ্ধার দেহের সমস্ত অংশ, এমনকি মাথাও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ (narco test of Aaftab Amin Poonawala)৷ হাড়হিম করা দিল্লির এই খুনের ঘটনায় তাই নার্কো টেস্টের মাধ্যমে আফতাবের কাছ থেকে অধরা প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Shraddha Walkar murder case)৷
কিন্তু কী এই নার্কো টেস্ট ?
সাধারণত জটিল কোনও কেসের রহস্য সমাধানের জন্য সন্দেহভাজন বা অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা করা হয় ৷ এই টেস্টে সংস্লিষ্ট ব্যক্তির দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে এক ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ সাধারণত সোডিয়াম পেন্টোথাল, স্কোপোলামিন, সোডিয়াম অ্যামিথালের মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ এরফলে মানুষ অর্ধ-মেতন বা হিপনোটিক স্টেজে চলে যায় ৷
এই ড্রাগগুলি প্রয়োগের ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি লোপ পায় ৷ ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আর সেভাবে থাকে না ৷ ফলে বানিয়ে কথা বলার অবস্থায় থাকে না অপরাধী বা অভিযুক্ত ৷ এই অবস্থায় তদন্তকারীরা ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলে তার অবচেতন মনে যা আগে তাই সে বলে দেয় ৷ ফলে ধরা হয় নার্কো টেস্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি কথাই বলছেন (narco test) ৷