এরনাকুলাম, 7 জুন: পরীক্ষা না-দিয়েই পাশ এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ৷ কলেজের ফলাফল বের হতেই শুরু বিতর্ক ৷ প্রযুক্তিগত ভুল বলে দায় সারলেন কর্তৃপক্ষ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের এরনাকুলাম মহারাজা কলেজে ৷ পরে অবশ্য ভুল সংশোধন করে পরীক্ষার ফল ফের প্রকাশ করা হয় ।
জানা গিয়েছে, এরনাকুলামের মহারাজা কলেজের পুরাতত্ত্ব বিভাগে তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় ফল বেরিয়েছে। সেই ফলাফলে দেখা যায়, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পিএম আরশো কোনও গ্রেড বা মার্কস ছাড়াই পাশ করেছেন । আর তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক ৷ এর বিরুদ্ধে এরনাকুলাম মহারাজা কলেজের কেএসইউ কর্মীরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন । কিন্তু অধ্যক্ষ ভি এস জয় জানান, এটি একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি মাত্র এবং ঘটনাটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলের তালিকা সংশোধন করা হয়েছে । অধ্যক্ষ বলেন, "এনআইসিতে এমন ভুল হয়েছে । কিন্তু কেএসইউ অভিযোগ করছে যে ফল প্রকাশের কয়েকদিন পরও এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়নি ।"
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই মহারাজা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং এসএফআই নেতা কে বিদ্যা নথি জাল করে অতিথি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ হয়েছেন বলে খবর সামনে আসে । তারপরেই এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকের পরীক্ষার ফল সামনে আসলে তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ৷ শংসাপত্র জাল করে চাকরি পাওয়ার জন্য জামিন অযোগ্য ধারায় বিদ্যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে । এরনাকুলাম সেন্ট্রাল পুলিশ প্রথমে মহারাজা কলেজের অধ্যক্ষ ভি এস জয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে। এরপর কেএসইউ ডিজিপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে । কলেজের নামে নথি জাল করে বিভিন্ন সরকারি কলেজে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন বিদ্যা বলে অভিযোগ ।
সম্প্রতি, বিদ্যা একটি সাক্ষাৎকারের জন্য আটাপাদি সরকারি কলেজে এসেছিলেন । কিন্তু সার্টিফিকেট নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় ৷ তারপরেই তারা তদন্ত করায় জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে । এরপরেই আটাপাদি কলেজের শিক্ষকরা এরনাকুলাম মহারাজা কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে অবহিত করে ৷ যাচাই করে দেখা যায় নথিগুলি জাল । কে বিদ্যা পাঁচ বছর আগে মহারাজা কলেজ থেকে মালায়ালম ভাষায় স্নাতক করেছিলেন ৷ তিনি একটি জাল শংসাপত্র তৈরি করেছিলেন ৷ যাতে তিনি দেখিয়েছেন 2018-19 এবং 2020-21 বছরে মহারাজা কলেজে মালায়ালম বিভাগে অতিথি শিক্ষক ছিলেন বিদ্যা ৷