পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Police Officer Death Controversy: জীবিত পুলিশ অফিসারকে মৃত ঘোষণা! অভিযোগ অস্বীকার এইমস হাসপাতালের

Allegation Against AIIMS Bassi: লুধিয়ানার জীবিত পুলিশ অফিসারকে মৃত ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্ক ৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

Police Officer Death Controversy
পুলিশ অফিসারকে মৃত ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্ক

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 20, 2023, 10:35 PM IST

লুধিয়ানা, 20 সেপ্টেম্বর: লুধিয়ানায় জীবিত পুলিশ অফিসারকে মৃত ঘোষণা করার অভিযোগ এইমস হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ৷ অন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে ৷ তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । পুলিশ অফিসারের নাম মনপ্রীত সিং ৷ কাচারির নায়েব কোর্টে কর্মরত তিনি ৷ মনপ্রীতের পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসা গাফিতলির অভিযোগ এনেছে ৷

পঞ্জাব পুলিশের এএসআইও ছিলেন মনপ্রীতের বাবা রামজি ৷ তিনি বলেছেন, "মনপ্রীতকে সম্প্রতি কিছু বিষাক্ত পোকা কামড়েছে । শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে এইমস বাসি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । চিকিৎসকরা মনপ্রীতকে কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন, যার কারণে তাঁর হাত খুব ফুলে যায় এবং সে ব্যথায় কাতরাতে থাকে ।"

তাঁর কথায়, ডাক্তাররা তাঁকে বলেছিলেন যে মনপ্রীতকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হবে ৷ এর পরে তাঁকে দুই থেকে তিন দিন ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু ভেন্টিলেটরে রাখার পরেও মনপ্রীতের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি ৷ তখন তিনি চিকিৎকদেরকে তাঁকে অন্য জায়গায় রেফার করতে বলেছিলেন । কিন্তু হাসপাতাল চিকিৎসকরা মনপ্রীতকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে অস্বীকার করেন । এতে তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে তাঁরা জানান ৷

মনপ্রীতের বাবা বলেন, "এরপরেই মনপ্রীতকে মৃত ঘোষণা করেন এইমস বাসির কর্মীরা ৷ এতে পরিবার হতবাক হয়ে যায় ৷" পরিবারের দাবি, যখন মনপ্রীতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছিল তখন তারা তাঁর নাড়ি চলছে বলে অনুভব করেছিল । বাবা রামজি জানান যে এরপর তিনি ডিএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জোর করেন এবং ছেলেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান যেখানে মনপ্রীতের চিকিৎসা চলছে এখন ।

আরও পড়ুন:নিপা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি কেরল ফেরত যুবক

আগে মৃত বলে ঘোষণা করা মনপ্রীতের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । এইমস বাসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য পরিবারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে । হাসপাতালের পালটা অভিযোগ, নিহতের পরিবার নিজেদের ইচ্ছামতো রোগীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে । এইমস বাসির একজন ডাক্তার বলেছেন, "হাসপাতালের কর্মীদের দ্বারা যদি মনপ্রীতকে মৃত ঘোষণা করা হত, তবে হাসপাতাল মৃতদেহের সঙ্গে একটি মৃত্যুর শংসাপত্র দিত ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details