নয়াদিল্লি, 29 সেপ্টেম্বর : কংগ্রেসের অন্দরে জটিলতা কি ক্রমশ বাড়ছে ? দলের দুই প্রবীণ নেতার আচরণ ও মন্তব্যে অন্তত এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল (Kapil Sibal) ৷ তাঁর বক্তব্য, দলে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলা উচিত ৷ একইসঙ্গে সংগঠনকে মজবুত করতে আত্মদর্শনেরও পরামর্শ দিয়েছেন কপিল ৷ অন্যদিকে, অবিলম্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির (Congress Working Committee) জরুরি বৈঠক ডাকার আবদেন জানিয়েছেন আর এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) ৷ নিজের আবেদন লিখিত আকারে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন তিনি ৷ যা দেখে মনে হচ্ছে, সময় যত এগোচ্ছে, ততই টলমল হচ্ছে কংগ্রেসের ভিত ৷
আরও পড়ুন :Kanhaiya Kumar : কংগ্রেস কোনও দল নয়, একটা ভাবধারা ; রাহুলের হাত ধরে ঘোষণা কানহাইয়ার
খাতায় কলমে দেখলে জাতীয়স্তরে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ৷ তাই কেন্দ্র তথা বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে তাদেরই সর্বসমক্ষে থাকার কথা ৷ অথচ বাস্তবে কিন্তু তেমনটা হচ্ছে না ৷ বরং কংগ্রেস ভাঙিয়ে অন্যরা তাদের শক্তিবৃদ্ধির রাস্তা খুঁজছে ৷ এই তালিকায় অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অসম থেকে গোয়া, একেবারে প্রথম সারির কংগ্রেস নেতারা শিবির বদলে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন ৷ এই অবস্থায় কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তা নিয়ে হইচই কম হয়নি ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, এতে কংগ্রেসের শক্তি বাড়বে ৷ কিন্তু এখন উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে মোটেও কাজের কাজ করেননি কানহাইয়া ৷ এদিকে, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যে শাসকের আসনে থেকেও কোন্দলে জেরবার গোটা কংগ্রেস ৷ বস্তুত, মুখে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেও আদতে নিজের ঘরটাই ঠিক মতো গুছিয়ে উঠতে পারছে না তারা ৷