নয়াদিল্লি, 8 জুন: হত্যা করা হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে ! কানাডার এমনই একটি ট্যাবলোর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল কংগ্রেস ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, সেই আর্জি জানিয়ে সরব হয়েছে সোনিয়া গান্ধির দল ৷
এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, "সরকার কী করছে ? দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি । তিনি শুধু একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা এবি বাজপেয়ি তাঁকে দেবী দুর্গা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন । ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না । প্রধানমন্ত্রীর উচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করা এবং কানাডিয়ান সরকারের কাছে একটি দৃঢ় প্রতিবাদ নথিভুক্ত করা যে, কানাডার মাটিতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপকে বরদাস্ত করবে না ভারত ৷"
কানাডার ব্রাম্পটনে 1984 সালে 31 অক্টোবর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকাণ্ড উদযাপনের জন্য সম্পাদিত সাম্প্রতিক একটি ট্যাবলোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ কথা বলেন কংগ্রেস নেতা । এই ঘটনাটি দলের কমিউনিকেশন ইনচার্জ জয়রাম রমেশ এবং প্রাক্তন সাংসদ মিলিন্দ দেওরা-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে ।
সুরজেওয়ালা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ভারতে কানাডার হাইকমিশনার ক্যামেরন ম্যাকেকে ফোন করতে এবং এই ঘটনার জন্য তাঁর কাছে একটি গুরুতর প্রতিবাদ নথিভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন । তার আগে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও এই বিতর্কিত ট্যাবলোর সমালোচনা করে বলেছেন যে, এটি কানাডার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর খারাপ ভাবে প্রতিফলিত হবে ।
আরও পড়ুন:বালাসোর-বিপর্যয়ে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইল কংগ্রেস, তোপ মোদিকেও
কানাডার হাইকমিশনারও ব্রাম্পটনের ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেছেন । তিনি লেখেন, "কানাডায় প্রয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির হত্যাকাণ্ড উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানের খবরে আমি আতঙ্কিত । কানাডায় ঘৃণা বা হিংসা নিয়ে গৌরবের কোনও স্থান নেই । আমি এ সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই ৷"
এই ট্যাবলো প্রসঙ্গে সুরজেওয়ালা আরও বলেন, "আমার উদ্বেগের বিষয় হল, কেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ফোন ধরে কানাডার বিদেশমন্ত্রীকে বলতে পারছেন না যে, সরকার ব্র্যাম্পটনের ঘটনায় বিরক্ত ৷ তাঁর চিন্তা তাঁর মনে থাকতে পারে । নিছক কথাই যথেষ্ট নয়, এই ক্ষেত্রে শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রয়োজন ৷" কংগ্রেস নেতার মতে, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কথা না ভেবে এই ধরনের ঘটনায় ভারত সরকারের প্রতিবাদ করা উচিত ৷ কারণ দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী ও সাধারণ মানুষ কানাডার ব্র্যাম্পটনে এই ট্যাবলোতে বিরক্ত হয়েছে ।