নয়াদিল্লি, 16 অক্টোবর : 2019-এর লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2019) পরাজয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ তারপর থেকে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) ৷ এবার কি তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন :Mohan Bhagwat : ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
আজ, শনিবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে ৷ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ৷ যার ফলে শীঘ্রই কংগ্রেস (Congress) পেতে পারে স্থায়ী সভাপতি ৷
কিন্তু এবার কে দায়িত্বভার নেবেন ? প্রায় দেড় দশক কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন সোনিয়া গান্ধি ৷ তারপর 2017 সালে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া রাহুল গান্ধির হাতে ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি রাহুলকে আবার দায়িত্বে ফেরানো হবে ? নাকি সোনিয়াকেই স্থায়ী সভানেত্রী বেছে নেওয়া হবে ?
আরও পড়ুন :Manmohan Singh : মনমোহনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল এইমস
কংগ্রেসের একটি সূত্রের বক্তব্য, সোনিয়া গান্ধি অসুস্থ ৷ আর দল এখন কার্যত রাহুল গান্ধির নির্দেশেই চলে ৷ তাই তাঁর ওই পদে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল ৷ তবে জল্পনায় রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রার (Priyanka Gandhi Vadra) নামও ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান প্রিয়াঙ্কা ৷ তারপর যত সময় গিয়েছে, ততই তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা বেড়েছে ৷
আরও পড়ুন :Ayodhya Ram Mandir : 24-এর লোকসভা ভোটের মুখে ভক্তদের জন্য খুলবে রাম মন্দির
কংগ্রেসের একটি অংশের বক্তব্য, রাহুল গান্ধি দায়িত্ব নিতে না চাইলে প্রিয়াঙ্কাই বিকল্প হতে পারেন ৷ তাছাড়া রাহুল গান্ধি 2019 সালের ভোটে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চ্যালেঞ্জ করে হেরেছেন ৷ তাই নতুন মুখ হিসেবে প্রিয়াঙ্কার আলাদা গ্রহণযোগ্যতা থাকবে ৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে গত বছর থেকেই কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচন চেয়ে সরব দলের নেতাদের একাংশ ৷ যাঁরা এই দাবি তুলেছেন, তাঁদের জি-23 বলা হচ্ছে ৷ কারণ, 23 জন নেতা এই দাবিতে চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধিকে ৷ সেই তালিকায় গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাও ছিলেন ৷ এরা পরবর্তী সময়েও একই দাবিতে সরব হয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন :Navjot Singh Sidhu : সিধুকে কাজ চালিয়ে যেতে বলল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড
প্রসঙ্গত, আগামী বছর থেকেই কার্যত 2024-এর লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) মহড়া শুরু হতে চলেছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election) ৷ যা আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ৷ ওই সময়েই পঞ্জাবেও ভোট হবে ৷
তাছাড়া রয়েছে আগামী বছরই গুজরাতে ভোট ৷ পরের বছর লোকসভা নির্বাচনের কিছু আগে ভোট রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে ৷
আরও পড়ুন :Narendra Modi : শুধু মোদির নামে ভোট পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, গুরুত্বপূর্ণ ভোটের লড়াইয়ে নামতে গেলে দলে যে একজন স্থায়ী সভাপতি প্রয়োজন, তা বুঝতে পেরেই কংগ্রেসের হাইকমান্ড সাংগঠনিক নির্বাচনে সম্মত হয়েছেন ৷ এখন দেখার ওয়ার্কিং কমিটি এই নিয়ে কী মতামত দেয় !