নয়াদিল্লি, 25 অগস্ট: সব মিলিয়ে মোট 29টি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ৷ তার মধ্যে পাঁচটিতে 'ম্য়ালওয়্য়ার'-এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে, সেগুলি 'পেগাসাস স্পাইওয়্যার' (Pegasus Spyware), নাকি অন্য কিছু, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন ৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার (Chief Justice NV Ramana) নেতৃত্বেধীন বেঞ্চে পেগাসাস সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ সেখানেই আদালত এই তথ্য পেশ করে ৷ সেইসঙ্গে, সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, পেগাসাস কাণ্ডের (Pegasus Case) জন্য আদালত তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার (Indian Government) সেই কমিটিকে তদন্তের কাজে সহযোগিতা করেনি ৷ কমিটি তার রিপোর্টে আদালতকে জানিয়েছে, "কেন্দ্র আমাদের সহযোগিতা করেনি !"
করোনা আবহে গত বছরের জুলাই মাসে হঠাৎই পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ ৷ অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গোষ্ঠী (NSO Group) পেগাসাস নামে একটি স্পাইওয়্যার তৈরি করেছে ৷ মোটা টাকায় সেই স্পাইওয়্যার কিনেছে ভারত সরকার ৷ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজসেবী, শিল্পপতি-সহ 300 জনেরও বেশি ব্যক্তির মোবাইলে এই স্পাইওয়্য়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ এ নিয়ে শুধুমাত্র ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতে আলোড়ন শুরু হয় ৷ ভয়াবহ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷
আরও পড়ুন:পেগাসাসে তপ্ত হবে বাজেট অধিবেশন, প্রকাশ্যে কংগ্রেসের পরিকল্পনা
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি তিন ভাগে তাদের রিপোর্ট আদালতের কাছে জমা করেছে ৷ এর মধ্যে দু'টি রিপোর্ট পেশ করেছে সংশ্লিষ্ট 'টেকনিক্যাল কমিটি' ৷ এই কমিটির সদস্যরা মূলত প্রযুক্তিগত দিকগুলি খতিয়ে দেখেছেন ৷ আর তৃতীয় রিপোর্টটি পেশ করেছে 'ওভারসিয়িং কমিটি' ৷ এই কমিটির সদস্যরা সামগ্রিকভাবে পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত করেছেন ৷ এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রন ৷