চেন্নাই, 19 ডিসেম্বর : 1911 সালের 17 জুলাই ৷ তিরুনেলভেলির তৎকালীন কালেক্টর রবার্ট উইলিয়াম দি এসকর্ট অ্যাশ এবং তাঁর স্ত্রী মেরি যাচ্ছিলেন কোদাইকানাল ৷ সেখানে পড়াশোনা করত তাঁদের সন্তানরা ৷ তাদের দেখতেই যাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ ফার্স্ট ক্লাস কোচে নিশ্চিন্তে রওনা দিয়েছিলেন ৷ বোট মেল সংযোগের জন্য মানিয়াচ্চি জংশনে দাঁড়ায় ট্রেন ৷ কালেক্টরের দেহরক্ষী জল আনতে নিচে যান ৷ আচমকা কোচে উঠে আসেন এক যুবক ৷ তখন স্ত্রীর সঙ্গে গল্পে মশগুল রবার্ট অ্যাশ ৷ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেন ওই যুবক (Vanchinathan shot Collector Robert William de'Escor) ৷ তড়িঘড়ি কোচ থেকে নেমে পালালেন ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ইংরেজ কালেক্টরের ৷ আর পরে ওই যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় রেলওয়ে স্টেশনের টয়লেটে ৷ ইংরেজ কালেক্টরকে গুলি করার পর নিজে আত্মঘাতী হন তিনি ৷ দেশের জন্য 25 বছর বয়সে আত্মত্যাগ করা সেই বিপ্লবী হলেন বাঞ্চিনাথন ৷
জন্মভূমি সেনগোট্টাই শহরে স্কুলজীবন কাটে বাঞ্চিনাথনের (Reactionary Vanchinatha Iyer) ৷ এরপর কলেজের পড়াশোনা করেন তিরুবানন্তপুরমে ৷ স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে নিজেকে উৎসর্গ করে ফরেস্ট গার্ডের চাকরি ছাড়েন ৷ সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নেন তিনি ৷ পুদুচেরিতে ভিভিএস আইয়ারের ভারত মাতা সংগঠনে তিনি অস্ত্র চালানোর কৌশল শেখেন ৷
স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব যখন ক্রমশ বাড়ছে , তখন তিরুনেলভেলিতে কালেক্টর হিসেবে আসেন রবার্ট অ্যাশ ৷ তাঁর প্রধান কাজ হল বিপ্লব দমন করা ৷ আর সেজন্য ভি.ও চিদম্বরমের জাহাজ কোম্পানি তাঁর অন্যতম টার্গেট হয়ে ওঠে ৷ রবার্ট অ্যাশকে হত্যার পিছনে এটা একটা অন্যতম কারণ ৷