নয়াদিল্লি, 21 ডিসেম্বর: সংসদে গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার জেরে এ বার নিরাপত্তা আরও জোরদার করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সংসদে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের বিস্তৃত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে ৷ সেই কারণে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে ।
সরকারের সূত্রগুলি সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে, দিল্লি পুলিশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (এমএইচএ), সিআইএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের অংশগ্রহণে একটি সাম্প্রতিক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে ।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে আরেক দফা বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলি বলছে, বৈঠকে দুটি বিষয় প্রধানত আলোচনা করা হয়েছে ৷ একটি হল, দক্ষতার কথা মাথায় রেখে সিআইএসএফকে সংসদের বিস্তৃত নিরাপত্তা হস্তান্তর করা হোক ৷ এবং অন্য প্রস্তাবটি ছিল, কয়েকটি পয়েন্টে দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা কর্মীদের অব্যাহত রাখা ।
সিআইএসএফ একটি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) যেটি বর্তমানে পারমাণবিক ও এরোস্পেস ডোমেইন, সিভিল এয়ারপোর্ট এবং দিল্লি মেট্রো ছাড়াও দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক মন্ত্রকের ভবনকে পাহারা দেয় ৷ সিআইএসএফ মোতায়েনের আগে ইনপুট সংগ্রহ করার জন্য সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের সার্ভের জন্য একটি নির্দেশও জারি করা হয়েছে ।
সংসদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তন করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি করা হয় ৷ উল্লেখ্য, লোকসভা সচিবালয় 13 ডিসেম্বর সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আটজন নিরাপত্তা কর্মীকে বরখাস্ত করেছে ৷ সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার পরে, লোকসভার মহাসচিব নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেছিলেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত দর্শকদের গ্যালারির জন্য কোনও পাস জারি করা হবে না ।
- আরও পড়ুন:
- 'সংসদে স্মোক ক্যানিস্টার হামলায় কোনও তর্ক-বির্তক নয়,' মন্তব্য নরেন্দ্র মোদির
- সংসদের স্মোক অ্যাটাকে বাংলা যোগ ! মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যের বিরোধীদের
- ললিত ঝা-র যোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে ! সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাড়ছিল ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’