বেজিং, 27 মার্চ : আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতেই গত বৃহস্পতিবার দিল্লি এসেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese FM's Forced Visit to India Meant to Ease Ties Ahead of BRICS Summit) ৷ তাও কার্যত বাধ্য হয়ে তাঁকে ভারত সফরে আসতে হয়েছে ৷ এমনটাই দাবি করছে কূটনৈতিক মহল ৷ আর এই সফরের আসল উদ্দেশ্য ছিল, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনের আগে আলোচনায় বসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কিছু হালকা করা ৷ কারণ ব্রিকসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি অনেক বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে বেজিং ৷
চিনের বিদেশমন্ত্রীর এই ঝটিকা সফরের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেই মনে করছে কূটনৈতি কমহল (Chinese Tricks Ahead of BRICS Summit) ৷ কারণ, 2020’র এপ্রিল থেকে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে দুই দেশের বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান এবং চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান বেজিংকে ভাবিয়ে তুলেছে ৷ তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ৷ কিন্তু, সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি ৷ আর এমনটা যে হবে, তা আগেই থেকেই চিন জানত বলে পলিসি রিসার্চ গ্রুপের দেওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
কিন্তু, তা সত্ত্বেও চিনের কিছু করার ছিল না বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘ওয়াং ই’র এই ভারত সফরের নিট ফল শূন্য হবে জেনেও, নিজেদের স্বার্থে বেজিং ওয়াং ই’কে ভারতে পাঠিয়েছিল ৷ চিন নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসাবে প্রমাণ করতে আক্রমণাত্মক, উস্কানিমূলক ও নগ্ন আচরণ করতে পারে না ৷ আনুগত্যের পাশাপাশি তাদের অন্যান্য দেশের সঙ্গে নিজেদের দ্বন্দ্ব মিটমাট করার চেষ্টা করতে হবে ৷ বিশেষ করে ভারতের মত দেশের ক্ষেত্রে ৷ যাদের সীমান্তে চোখরাঙানি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না ৷’’
আরও পড়ুন : Imran khan : রবিবারের সমাবেশেই কি ইমরান খানের পদত্যাগ ঘোষণা ? জল্পনা তুঙ্গে
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন এখনও নিশ্চিত নয় যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিনের জিয়ামেন শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন কিনা ৷ তাই ব্রিকসের আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে মোদির উপরে চাপ তৈরির চেষ্টা করতে হত ওয়াং ই’কে ৷ চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ওই রিপোর্টে ‘চিনের ছদ্মবেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যেখানে চিন নিজেকে প্রতিবেশী ভারতের কাছে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পলিসি রিসার্চ গ্রুপের রিপোর্টে ৷