নয়াদিল্লি, 18 নভেম্বর: সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে কেন্দ্রের । এবার অরুণাচল প্রদেশে চিনের তৈরি দ্বিতীয় বসতি এলাকা ধরা পড়ল কৃত্রিম উপগ্রহের ক্যামেরায় । আধুনিক পরিকাঠামো নির্ভর কমপক্ষে 60টি বাড়ি নিয়ে, সবুজ পরিবেশের মাঝে ওই বসতি এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে ।
আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাক্সার উপগ্রহ থেকে তোলা থেকে ওই ছবি সামনে এসেছে । এর আগে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন অরুণাচলে চিনের তৈরি যে গ্রামের হদিশ দিয়েছিল, তার থেকে 93 কিলোমিটার পূর্বে, প্রত্যন্ত শি ইয়োমি জেলায় ছিটমহলের আকারে এই নয়া বসতি গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি ম্যাক্সারের ।
চিনের তৈরি এই নয়া বসতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যবর্তী অঞ্চলে, অরুণাচলের 6 কিলোমিটার অন্দরে বলে জানা গিয়েছে । আগের গ্রামটি অরুণাচলের সাড়ে 4 কিলোমিটার অন্দরে । অর্থাৎ অরুণাচলে আরও ভিতরে ঢুকে এসেছে চিন । তবে এখানেও লোকজন নিয়ে এসে ড্রাগনবাহিনী বসবাস শুরু করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় ।
ম্যাক্সারের দাবি, 2019 সালেও ওই এলাকায় এই বসতির কোনও চিহ্ন ছিল না । যে এলাকায় এই বসতি গড়ে তুলেছে চিন, তা ভারতের মূল ভূখণ্ডেরই অংশ । এনিয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভারতীয় সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে । তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে, তাতে এলএসির উত্তরে চিন নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেই ওই বসতি গড়ে উঠছে বলেই মনে হয় । তবে সেটি এলএসি এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে হতে পারে, এই তত্ত্ব উড়িয়েও দেয়নি সেনা ।
তবে অরুণাচলে চিনের দ্বিতীয় বসতি ঘিরে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস । দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সেবাদল টুইটারে এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে । তারা লেখে, ‘উপগ্রহের ছবি বলছে, বেআইনি ভাবে অরুণাচলের শি ইয়োমি জেলায় দ্বিতীয় নির্মাণ গড়ে তুলেছে চিন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সত্যিই কি একজন নির্বাক এবং কাপুরুষ দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন, নাকি এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে ?’’
একদিন আগেই ডোকলামে চিনের গড়ে তোলা চারটি গ্রামের হদিশ মেলে ৷ এবছরই সেগুলি গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লির বিদেশ নীতি এবং সীমান্ত রক্ষা নীতি ৷ তার মধ্যেই অরুণাচলে ফের চিনের হাতে জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সামনে এল ৷