গোয়ালিয়র, 18 জুলাই:মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে আফ্রিকা থেকে আনা একের পর এক চিতার মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। গত কয়েকদিনে ফের দু'টি চিতার মৃত্যুতে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে দু'টি চিতারই কিডনি ও হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েেছ, এমনটাই সূত্রের খবর। কেন এত ঘন ঘন চিতার মৃত্যু হচ্ছে সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে সম্ভাব্য কয়েকটি বিষয়কেই দায়ী করছেন বন আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অবশ্য়ই একটি রেডিয়ো কলার। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। কুনোয় আরও এক চিতা ওবানের ঘাড়ে রেডিয়ো কলারের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এমনকী সংক্রমণ স্থানে পোকা ধরে যাওয়ার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে ৷ তাহলে রেডিয়ো কলার থেকে সংক্রমণই কি চিতাগুলির মৃত্যুর কারণ?
এ বিষয়ে জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রকাশ কুমার বর্মা বলেছেন, কুনোর জঙ্গলে মোট 10টি চিতা রয়েছে ৷ ওদের স্বাস্থ্য এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বনদফতরের তরফে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার কুনোয় চিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আফ্রিকা থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতা ও পরবর্তীতে জন্মানো শাবক মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে 24টি চিতা ছিল। লাগাতার মৃত্যুর পরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 16-তে। মৃত্যুর কারণে সরকার থেকে প্রশাসন উদ্বিগ্ন সকলেই।