বেঙ্গালুরু, 24 অগস্ট: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) বৃহস্পতিবার মিশন আপডেটে জানিয়েছে যে, চন্দ্রযান-3-এর সমস্ত ক্রিয়াকলাপ যেমন নির্ধারিত অবস্থায় রয়েছে, তেমনই তার যাবতীয় সিস্টেমও স্বাভাবিক রয়েছে । বুধবারই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-3 ৷ আর ঐতিহাসিক অবতরণের একদিন পর বিক্রম ল্যান্ডারের পেলোডগুলি চালু করা হয়েছিল । রোভারের গতিশীলতা তার কার্যক্রমও শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরো ।
এদিন সন্ধ্যায় ইসরো টুইট করে জানিয়েছে, "সমস্ত ক্রিয়াকলাপ নির্ধারিত রয়েছে । সমস্ত সিস্টেমও স্বাভাবিক রয়েছে । ল্যান্ডার মডিউল পেলোডগুলি আইএলএসএ, রম্ভা এবং চাস্টে এদিন চালু করা হয়েছে । রোভারের গতিশীলতা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে । প্রপালশন মডিউলে শেপ পেলোড রবিবার চালু করা হয়েছে ৷"
চন্দ্রযান অবতরণের আগে চূড়ান্ত মুহূর্তগুলির একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছে । সেখানে দেখা যাচ্ছে, যতই চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে ল্য়ান্ডার ততই স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে চাঁদ। দেখা যাচ্ছে, চাঁদে ছোট-বড় প্রচুর গর্তও দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োতে। গর্তের ভিতর নিকষ আলো অন্ধকার। ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরা ওই ছবিগুলি তুলেছে অবতরণের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ভিডিয়ো শেয়ার করার সময় ইসরো টুইটে জানিয়েছে, "ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরাটি মাটি স্পর্শ করার ঠিক আগে চাঁদের ছবি ধারণ করেছিল ।" বুধবার, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে তার রোভার প্রতিস্থাপনে বিশ্বে প্রথম দেশের তকমা পেয়েছে ৷ অন্যদিকে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, চাঁদের এই এলাকায় জলের চিহ্নও থাকতে পারে ।
আরও পড়ুন: ইসরোর 'টিম চন্দ্রযান 3'-তে আছেন বাংলার 31 বিজ্ঞানী
বুধবার সন্ধ্যা ছ'টার কিছু পরই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামে । এর আগে কোনও দেশ এই দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেনি বলেই খবর ৷ ইসরোর বিজ্ঞানীরা মনে করছে, হিমায়িত জল এবং মূল্যবান উপাদানগুলির গুরুত্বপূর্ণ মজুদ থাকতে পারে চাঁদের এই এলাকায় ।