নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর : দেশ স্বাধীন হয়েছে 1947 সালে ৷ তারপর থেকে ভারত বহু পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে ৷ শুধু বদলায়নি দেশের ঐতিহ্যবাহী মনুমেন্ট, ভবন, আর স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে জড়িত অঞ্চলগুলি ৷ যা সাধারণ মানুষকে, বিশেষত পর্যটকদের ভারতের পুরনো সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে ৷
এইসব মনুমেন্ট আর জায়গাগুলো মুঘল যুগে তৈরি, কিছু ব্রিটিশ শাসনকালে ৷ 1857-র বিদ্রোহ (1857 revolution) থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের (freedom struggle) সময় তো বটেই, আজও প্রত্যেক দিনের জীবনে এই মনুমেন্ট আর জায়গাগুলোর একটা সম্পর্ক রয়েছে ৷ সেরকমই একটা জায়গা দিল্লির সদা গুঞ্জনরত চাঁদনি চক ৷ দেশের রাজধানীর ইতিহাসে চাঁদনি চকের একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ৷ এই জায়গা বহু শাসককে তখতে বসতে দেখেছে, যেতে দেখেছে ৷ কিন্তু কখনও নিজের ঔজ্জ্বল্য হারায়নি (Chandni Chowk: A gateway to old-world charm) ৷
ইতিহাসবিদ স্বপ্না লিডলের মতে, তখন মুঘল সাম্রাজ্যের সময়কাল ৷ সতেরো শতকে পুরোনো দিল্লিতে শাহজাহানের মেয়ে জাহানারা (Mughal Emperor Shah Jahan's daughter Jahanara) চাঁদনি চক বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ৷ তখন এর নাম ছিল শাহজাহানাবাদ ৷ পরে পুরো এলাকাই বাজারের নামে চাঁদনি চক হয়ে যায় ৷ শুধুমাত্র বাজারই নয়, জাহানারা হাম্মাম, সরাই সমেত বহু বাড়িঘর এবং ছোটো ছোটো বাজারও তৈরি করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন : 75 Years of Independence : জীবনে একবারই গুলি ছুড়েছিলেন ভগৎ সিং
1857-র পরে, ব্রিটিশ সরকার বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে এবং তার জায়গায় 'টাউন হল' (Town Hall) এবং 'ঘণ্টাঘর' (Ghantaghar) বানিয়েছে ৷
ইতিহাসবিদ বলেন, "চাঁদনি চকে জাহানারা বেগম নিজে দোকানঘর এবং একটা বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা সরাই নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন ৷" 1649 সালে শাহজাহানের মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল ৷ এরপরই চাঁদনিচক প্রতিষ্ঠা হয় ৷
লাল কেল্লা থেকে ফতেহপুর মসজিদ (Red Fort to Fatehpuri Masjid) পর্যন্ত রাস্তাকে আজ মানুষ চাঁদনি চক বলে জানে ৷ একসময় যমুনা নদী থেকে একটা খাল এখান দিয়ে বয়ে যেত ৷