পটনা, 7 নভেম্বর: বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে জাতি-শুমারি সমীক্ষার অর্থনৈতিক রিপোর্ট পেশ করা হয় । সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, বিহারের জনসংখ্যার মাত্র 7 শতাংশ স্নাতক । অর্থনৈতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, 25.9 শতাংশ সাধারণ পরিবারকে দরিদ্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে । এর মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্রের মধ্যে রয়েছে ভূমিহার এবং ব্রাহ্মণ পরিবারের লোকজন ।
অর্থনৈতিক তথ্য: বিহারে জাতি-সমীক্ষার অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত রিপোর্ট মঙ্গলবার বিধানসভায় পেশ করা হয় । ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে 25.09 শতাংশ সাধারণ শ্রেণির, 33.16 শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণির, 33.58 শতাংশ অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির, 42.93 শতাংশ তফসিলি জাতির, 42.70 শতাংশ তফসিলি উপজাতি ও 23.72 শতাংশ অন্যান্য জাতির অন্তর্ভুক্ত ।
সাধারণ শ্রেণিতে সবচেয়ে গরিব: সাধারণ শ্রেণির সর্বাধিক 25.32 শতাংশ পরিবার দরিদ্র । ব্রাহ্মণদের মধ্যে 25.3 শতাংশ, রাজপুতদের মধ্যে 24.89 শতাংশ এবং কায়স্থদের মধ্যে 13.83 শতাংশ গরিব । এছাড়া ভট্ট পরিবারের 23.68 শতাংশ, মল্লিক ও মুসলিমদের 17.26 শতাংশ, হরিজনের 29.12 শতাংশ, কিন্নরের 25.73 শতাংশ, কুশওয়াহার 34.32 শতাংশ, যাদবের 35.87 শতাংশ, কুর্মির 29.90 শতাংশ, স্বর্ণকারের 26.58 শতাংশ এবং মল্লাহর 32.99 শতাংশ দরিদ্র ।
সংরক্ষণের সীমা কি বাড়ানো উচিত: এই সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে আসার পরই সংরক্ষণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে৷ কংগ্রেস নেতা অজিত শর্মা বলেন, ‘‘এখনই দরকার নেই । বর্তমানে যাদের নাম বাকি আছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।’’
সমীক্ষা নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া: বিজেপি নেতা তারকেশ্বর প্রসাদ বলেন, ‘‘জাতি-শুমারির সিদ্ধান্ত এনডিএ সরকার নিয়েছে । এনডিএ সরকারের সময়ে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিল । আমাদের সরকার তৎকালীন মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এটি পাশ করে । এর ব্যয়ের জন্য 500 কোটি টাকা বাজেটের বিধান রাখা হয়েছিল । আমি নিজে সেই সরকারে অর্থমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলাম ।’’