নয়াদিল্লি, 6 নভেম্বর: চলতি বছরের 21 অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হিসাব বলছে, ভারতবাসীর হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 30.88 লক্ষ কোটি ! যা এক নতুন রেকর্ড ৷ গত শুক্রবার আরবিআই-এর তরফে যে পাক্ষিক তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই তথ্য সামনে এসেছে ৷ এর থেকেই স্পষ্ট যে নোটবন্দির (Demonetisation) পর 6 বছর কেটে গেলেও নগদের ব্যবহারে রাশ টানা যায়নি ৷ বরং এখনও অধিকাংশ নাগরিকই নগদ লেনেদেনে বেশি সড়গড় ৷
2016 সালের 4 নভেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন শেষ এক পক্ষকালের হিসাব ধরলে এ বছরের 21 অক্টোবর পর্যন্ত ভারতীয়দের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে 71.84 শতাংশ ৷ উল্লেখ্য, 2016 সালের 8 নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নোটবন্দি ঘোষণা করেছিলেন ৷ রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুরনো 500 এবং 1000 টাকার নোট ৷ সেই সময় কেন্দ্রের দাবি ছিল, দুর্নীতিতে রাশ টানতে এবং কালো টাকা পুনরুদ্ধার করতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:পাঁচ বছর পূর্তিতে ‘নোটবন্দি বিপর্যয়’ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা প্রিয়ঙ্কার
যদিও অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ কেন্দ্রের এই যুক্তি মানেননি ৷ তাঁদের মতে, যেভাবে হঠাৎ এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল, তাতে নাটকীয়তা থাকলেও অর্থনীতির যুক্তি বিশেষ ছিল না ৷ বরং, এর ফলে নগদ অর্থের অভাবে (Less Cash) ভারতীয় অর্থনীতি বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলেও অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন ৷
প্রসঙ্গত, এখানে আমজনতার হাতে থাকা নগদ অর্থ বলতে বোঝাচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক পরিমাণের নোট এবং খুচরো পয়সা ৷ সাধারণত, রোজের কাজ সারতে মানুষ যে নগদ টাকা পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করে, এখানে তারই হিসাব দেওয়া হয়েছে ৷ দোকান, বাজার করা থেকে শুরু করে গ্যাস বা বিদ্যুতের মতো পরিষেবা কেনার জন্য মানুষ এই নগদ ব্যবহার করে ৷ এক্ষেত্রে ব্য়াংকগুলিতে আমজনতার গচ্ছিত অর্থ হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে ৷ তবে, এটাও ঠিক যে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ভারতের ডিজিট্যাল লেনদেন যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ কিন্তু, তারপরও নগদের ব্যবহার কমেনি ৷ এক্ষেত্রে আরবিআই-এর ব্যাখ্যা হল, ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে বলেই ডিজিট্যাল লেনদেন ব্যাপক হারে বাড়া সত্ত্বেও নগদের আদান-প্রদান কমেনি ৷