কোয়েম্বাটুর, 3 জানুয়ারি: আন্নামালাই টাইগার রিজার্ভের মানমপল্লি বনাঞ্চলে একটি হাতি ও তার শাবককে প্রাণে বাঁচাল কোয়েম্বাটুর বন বিভাগ ৷ গত 30 ডিসেম্বর বন বিভাগের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে জঙ্গলের পান্নিমেদু অঞ্চল থেকে মা হাতি ও তার শাবককে উদ্ধার করেছে ৷ বন দফতরের ড্রোন ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মা হাতির গায়ের সঙ্গে লেপটে ঘুমাচ্ছে শাবকটি ৷ আর হাতিটি তার সন্তানকে শুঁড় দিয়ে আগলে রেখেছে ৷ যে ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় ৷
জানা গিয়েছে, শাবককে নিয়ে হাতিটি একাই আন্নামালাই টাইগার রিজার্ভে মানমপল্লি বনাঞ্চলে ঘুরছিল ৷ সাধারণ ওই এলাকায় হাতিরা দলবদ্ধ হয়ে ঘোরে ৷ মনে করা হচ্ছে, শাবককে নিয়ে কোনওভাবে দলছুট হয়ে গিয়েছিল হাতিটি ৷ এর পর তাই একাই শাবককে আগলে রেখেছিল সে ৷ যেহেতু ওই এলাকায় হিংস্র জন্তুদের আনাগোনা, তাই হাতি ও তার শাবকের প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল ৷ তবে, বন বিভাগ জানিয়েছে, হাতি ও শাবকটি চিতাবাঘ, বাঘ, ভাল্লুক বা অন্য কোনও হিংস্র প্রাণীর হামলার শিকার হয়নি ৷ বর্তমানে হাতি ও শাবকি নিরাপদে ও সুস্থ রয়েছে ৷
তবে, বন বিভাগের ড্রোনে ধরা পড়া ভিডিয়ো নেট দুনিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল ৷ দলছুট হাতির শুঁড়ের নিচে তার শাবক শুয়ে রয়েছে ৷ আর মা হাতি সন্তানকে শুঁড় দিয়ে আগলে রয়েছে ৷ যে দৃশ্যে মুগ্ধ নেট দুনিয়া ৷ যেখানে কেউ কেউ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের পক্ষে সরব হয়েছেন ৷ অনেকে বলছেন, মানুষের কাজকর্ম ও প্রকৃতির মধ্যে যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, তা বজায় রাখতে হবে ৷ তবেই প্রকৃতির সৃষ্টি করা এই জীব জগৎ নিজেদের মতো করে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে ৷ এই ইস্যুতে বন বিভাগের পাশাপাশি, মানুষকেও আরও সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা অনেকে ৷
উল্লেখ্য, আন্নামালাই টাইগার রিজার্ভsর মানমপল্লি বনাঞ্চলে প্রায় 300টি হাতি রয়েছে ৷ যারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ঘুরে বেড়ায় ৷ সেই হাতির পালে 20টি শাবকও রয়েছে ৷ এই স্ত্রী হাতি ও তার শাবক সেইরকমই একটি দল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে কোয়েম্বাটুর বন বিভাগের আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন:
- এবার কী হবে! বাড়িতে অতিথি, বৌভাতের অনুষ্ঠানের আগেই ভোজ খেয়ে গেল হাতি
- হাতির রসনা তৃপ্তির অভিনব উপায়ে তাণ্ডব থেকে জনবসতিকে রক্ষা করছে অসমের এনজিও
- ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু উত্তরাখণ্ডে, আহত সাত মাসের শাবক; প্রশ্নের মুখে রেলের ভূমিকা