Shootout at Asansol: ভরসন্ধ্যায় শুটআউট ! এলোপাথাড়ি গুলি করে হোটেল মালিককে খুন

আসানসোলে শুটআউট । হোটেলে ঢুকে ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা । আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অরবিন্দ ভগত নামে ওই ব্যবসায়ীকে (Shootout at Businessman) । রাস্তাতেই মারা যান তিনি ।

আসানসোল, 17 ফেব্রুয়ারি: হোটেলে ঢুকে মালিককে এলোপাথাড়ি গুলি । জমজমাট সন্ধ্যায় আসানসোলের একেবারে প্রাণকেন্দ্র ভগৎ সিং মোড়ের সামনেই সেনর‍্যালে রোডে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে গুলি করল দুষ্কৃতীরা । হোটেলের লাউঞ্জে বসে থাকাকালীন দুই দুস্কৃতী সরাসরি তাঁর সামনে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় । ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী । তাঁকে তড়িঘড়ি আসানসোলের সেনর‍্যালে রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে । সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর (Shootout at Businessman in Asansol )।

জানা গিয়েছে, আসানসোলের সেনর‍্যালে রোডে মীরা নামে একটি হোটেল আছে । যার মালিক অরবিন্দ ভগত । রোজই সন্ধ্যায় হোটেলে এসে বসতেন তিনি । শুক্রবার সেইভাবেই হোটেলের লাউঞ্জে বসে ছিলেন অরবিন্দ ভগত । উলটোদিকে হোটেলের অন্যান্য গেস্টরাও ছিলেন । সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দু'জন দুস্কৃতী হঠাৎ ঢুকে অরবিন্দ ভগতকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে । মাটিতেই লুটিয়ে পড়েন অরবিন্দ বাবু । দুস্কৃতীরা সহজেই বেরিয়ে যায় হোটেল থেকে । ঘটনার জেরে আসানসোলের সেনর‍্যালে রোডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে । ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ কমিশনার ।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ওই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষী কালিদাস বাউরি বলেন, "দুজন দুষ্কৃতী এসেছিল । দু'জনেরই কপালে তিলক ছিল । একজন হেলমেট পরে, অন্যজন টুপি পরে এসেছিল । কিছু না-বলেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে । আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় । ভয়ে সরে আসি ।"

কী কারণে এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি । ঘটনার তদন্তে নেমেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ । একেবারে ভরসন্ধ্যায় আসানসোল শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে । ঘটনাস্থল থেকে আসানসোল দক্ষিণ সাউথ পুলিশ পোস্ট মাত্র 700 মিটার দূরে । সেখানে রাস্তার উপর একটি অভিজাত হোটেলে এই গুলিকাণ্ডের ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । মনে করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা । এই ব্যবসায়ীর হোটেল ছাড়াও আরও বেশ কিছু ব্যবসা ছিল । ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে । পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে । পাশপাশি তদন্তে নেমে হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।

ওই হোটেলের এবং আশেপাশে এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে দুষ্কৃতীরা কোন দিকে পালিয়েছে । মনে করা হচ্ছে সেনর‍্যালে রোড হয়ে জুবিলী থেকে দুষ্কৃতীরা জাতীয় সড়ক দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে । পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি থানাকে জানানো হয়েছে । পাশাপাশি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকাতল্লাশি শুরু হয়েছে । সন্দেহজনক ব্যক্তি দেখলেই তাদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।