ভিকারাবাদ (তেলাঙ্গানা), 12 জুন: বাবা ও জামাইবাবুর সঙ্গে ঝগড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক তরুণী রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান । পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি । পরদিন সকালে একটি পুকুরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ চোখে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় ৷ গলার নলি কাটা অবস্থায় ছিল ৷ পুলিশ ধারণা, কেউ তাঁকে নির্মমভাবে নির্যাতন করার পর হত্যা করেছে । গত 10 জুন এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে তেলাঙ্গানার ভিকারাবাদ জেলার পারিগি থানা এলাকায় ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর বয়স 19 ৷ তাঁর বাড়ি ভিকারাবাদ জেলার কাল্লাপুর গ্রামে ৷ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি মাস দুয়েক নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন ৷ বর্তমানে তিনি ভিকারাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছিলেন । মাস তিনেক আগে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তখন তাঁর ভাই মাকে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান । তিনিও নার্সের কাজ করছিলেন ৷ তাঁর বাবা ও ছোট ভাই বাড়িতে ছিলেন ৷
মাস দুয়েক আগে তাঁর বাবা তাঁকে বাড়িতে ডেকে পাঠান ৷ কারণ, বাড়িতে রান্নার জন্য কেউ ছিল না ৷ গত 10 জুন রান্না নিয়ে বিবাদ বাঁধে ৷ জামাইবাবুর জন্য রান্না না করার অভিযোগ ওঠে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ৷ সেই বিবাদের জেরে জামাইবাবু ও বাবা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ৷ তার পর তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান ৷