মাহোবা, 10 মে: দিন বদলেছে ৷ পণ না-পেয়ে বা কনের কোনও খুঁত বের করে বিয়ে ভেঙে দেওয়া, বরযাত্রী নিয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা এখন বেশ সেকেলে ৷ ইদানিং উলটো ঘটনাও নজরে আসছে ৷ লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার ভয়ে কুঁকড়ে না-থেকে নিজেদের মত তুলে ধরছেন মহিলারা ৷ প্রয়োজন পড়লে বিয়ের আসর থেকে পাত্রকে বাড়ি পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙে দিতেও পিছপা হন না আজকের মেয়েরা ৷ সেরকমই এক নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশের মাহোবার এক ধন্যি মেয়ে ৷
বিয়ের আসরে বরের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কনে ৷ মালাবদলের আগে তিনি বরকে 2-এর নামতা বলতে বলেন ৷ এ ভাবে হাটে হাঁড়ি ভাঙবে তা ঠাওর করতে পারেননি বর ও বরের বাড়ির লোকজন ৷ 2-এর নামতা বলতে গিয়ে বরের দাঁত ভেঙে যাচ্ছে দেখে আর এক মুহূর্ত ভাবেননি ওই কনে ৷ সটান উঠে পড়েন বিয়ের আসর থেকে ৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রাথমিক শিক্ষাটুকু যে মানুষের নেই, তিনি তাঁকে বিয়ে করবেন না ৷
কনের এই কথা শুনে তো বরযাত্রী হাঁ ৷ তাজ্জব উপস্থিত অতিথিরাও ৷ সবাই তখন মুখচাওয়া চাওয়ি করছেন ৷ অনেকে কনেকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন ৷ যেন তিনি বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যান ৷ বিয়ের আসর থেকে এ ভাবে উঠে যাওয়া তাঁর জন্য অমঙ্গলের হতে পারে বলেও সাবধানবাণী এল ৷ তবে কেউই সেই 'ধন্যি' মেয়েকে বাগে আনতে পারেননি ৷ নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বিয়ে ভেঙে দেন কনে ৷