দিল্লি, 17 জানুয়ারি : জি-7 সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । চলতি বছরের জুনে কর্নওয়াল প্রদেশে বসবে জি-7 সামিট । এবছরের সামিটে কোরোনা ভাইরাস ও জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
ব্রিটেন, কানাডা, অ্যামেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জি-7 । এবার ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । এবছর সাধারণতন্ত্র দিবসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভারত সফর বাতিল করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী । তবে সামিটের আগে তিনি একবার ভারত সফর করবেন বলে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন :সিদ্ধান্ত বদল, ভারত সফর বাতিল করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন
গত দু'বছরের মধ্যে প্রথমবার ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বরিস জনসন । সামিটে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও অতিথি তিন দেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে । ফলে জি-7 গ্রুপের দেশগুলি লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে । পাশাপাশি কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্ব তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারত । সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাধ্যমে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাকি দেশগুলি । কোরোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্ব আর্থ-সামাজিক দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ভবিষ্যতে তার থেকে উঠে দাঁড়াতে ভারতের মতো দেশকে প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বরিস জনসন ।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারত হল বিশ্বের ঔষধালয় । তারা ইতিমধ্যে বিশ্বের 50 শতাংশ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে । কোরোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে ভারত ও ব্রিটেন একযোগে কাজ করেছে । আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ।"
আরও পড়ুন :ভ্যাকসিনের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস মোদি-বরিসের
বরিস জনসনের মতে, কোরোনা ভাইরাস সারা বিশ্বকে এক নতুন দিকের সন্ধান দিয়েছে । বিশ্ব এখন আধুনিক হয়েছে । তাঁর মতে, আধুনিকতার উপর ভর করে কোরোনা ভাইরাসের ক্ষতিপূরণ মেটাতে হবে । ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়, তার জন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কথা বলেছেন তিনি ।
