দিসপুর (অসম), 27 জুলাই : অসম-মিজোরাম সীমান্ত সংঘর্ষে মৃত অসম পুলিশ ও আধাসেনার সংখ্যা দাঁড়াল 7 ৷ আহত অন্ততপক্ষে 65 ৷ এবার প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যকে এই সংঘর্ষ থামাতে আর্জি জানাল অসম সরকার ৷ সোমবার পুরনো বিবাদের জেরে দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকা লায়লাপুরে রীতিমতো তাণ্ডব চলে ৷ অশান্তি থামাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হস্তক্ষেপ করার কথা জানিয়ে টুইট করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অসম সরকার জানিয়েছে, দুই-রাজ্যের মধ্যে থাকা চুক্তি আরেকবার লঙ্ঘন করেছে মিজোরাম ৷ তারা সীমান্তের স্থিতাবস্থা (status quo) ভেঙে অসমের রেঙ্গতি বস্তি (Rengti Basti) অঞ্চলের দিকে একটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে ৷ সোমবার সকালে সমস্যার সমাধান করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অসম প্রশাসনের আধিকারিকের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় পৌঁছায় ৷ মিজোরামকে স্থিতাবস্থা (Status Quo) বজায় রাখার অনুরোধ জানায় তারা ৷ এই বিশেষ দলে ছিলেন আইজিপি (IGP), ডিআইজি (DIG), কাছার (Cachar) জেলার ডিসি, ডিএফও ৷ দুঃখের বিষয়, মিজোরামের তরফে একদল উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে ৷
এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই বিক্ষুব্ধ জনতা মাথায় হেলমটে পরে অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসছিল ৷ এই দৃশ্য ভিডিয়ো ফুটেজে স্পষ্ট ৷ তারা অসমের আধিকারিকদের উপর পাথর ছুড়তে থাকে, ডিসি-র গাড়ি-সহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে ৷ মিজোরাম পুলিশ প্রতিনিধি দলকে নিশানা করে অনবরত টিয়ার গ্যাস শেল ফাটাতে থাকে ৷ আইজিপি আহত হন ৷ বিকেলে এসপি কোলাসিব (SP Kolasib) অসমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ৷ বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া থেকে রুখে, শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয় এই আলোচনায় ৷