লখনউ, 04 ডিসেম্বর: বাবার কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোল মেয়ে ৷ তার পর আর দু’দিন খোঁজ মিলল না তার ৷ শেষমেশ পড়শির বাড়িতে টিনের ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল ছ’বছরের শিশুর নিথর দেহ (Body of UP girl Found) ৷ ধর্ষণ করে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ কিন্তু যে ভাবে উত্তরপ্রদেশ (Crime in Uttar Pradesh) থেকে একের পর এক ঘটনা উঠে আসছে, তাতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়ে থাকতে পারে (Suspected Rape and Murder) বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের ।
উত্তরপ্রদেশের হাপুড় জেলার জনপদ কোতোয়ালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ৷ যে বাড়ি থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ৷ তার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হাপুড় পুলিশের এসপি সর্বেশকুমার মিশ্র ৷
আরও পড়ুন:Centre Letter on Covid-19 : সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
নিহত ওই শিশুর বাবা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষবার মেয়েকে দেখেছিলেন তিনি ৷ কিছু কিনবে বলে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ টাকা চেয়েছিল মেয়ে ৷ তা দিতেই দোকান থেকে আসছে বলে বিকেল সাড়ে 5টা নাগাদ বেরিয়ে যায় ৷ তার পর আর বাড়ি ফেরেনি ৷
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও মেয়ে না ফেরায়, গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখেন শিশুটির বাবা ৷ সকাল হতে থানায় খবর দেন ৷ তার পরেও এ পাড়া, ও পাড়া খুঁজে দেখেন ৷ কোথাও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে যখন বিধ্বস্ত, সেই সময় পাড়ার এক বাসিন্দা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর মেয়ের দেখা মিলেছে বলে জানান ৷
সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে গিয়ে ওই ব্যক্তি দেখেন, প্রথমে মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলছেন পড়শি ৷ তার পর বাড়িতে নিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই পড়শির বাড়িতে ছুটে আসেন মেয়েটির বাবা ৷ কিন্তু বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় খালি হাতেই ফিরতে হয় ৷
আরও পড়ুন:Omicron in India : কর্নাটক-গুজরাতের পর এবার মহারাষ্ট্রেও, ভারতে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক
এর পর শনিবার সকালে পড়শির তালাবন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় মেয়েটির পরিবারের ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে তালাভেঙে জামাকাপড় বোঝাই টিনের ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ৷
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় ৷ অভিযুক্ত ওই পড়শির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয় ৷ শেষমেশ হদিশ মেলে তার ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ৷ সেইসময় অভিযুক্তের উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ৷ কোনওরকমে আড়াল করে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ৷ সেখানে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ৷