নয়াদিল্লি, 15 অক্টোবর: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন একাধিক ৷ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা এবং দামি উপহারের বিনিময়ে তৃণমূল সাংসদ লোকসভায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন ৷ যার মধ্যে আদানি-কে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া ৷ আর তা নিয়েই এবার লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন বিজেপি সাংসদ ৷
দুই পাতার চিঠিতে বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেছেন, মহুয়া মৈত্র লোকসভায় বিতর্কিত প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন ৷ নগদ এবং দামী উপহারের বিনিময় হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। আর তারপরই দুবে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যক্ষের কাছে ৷ পাশাপাশি মহুয়াকে সংসদ থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করে লিখেছেন, "জাল ডিগ্রীওয়ালা এবং অন্যান্য বিজেপির ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মুলতুবি রয়েছে একাধিক প্রিভিলেজ ৷ লোকসভার অধ্যক্ষ সেগুলি আগে শেষ করুন, তারপরে আমার বিরুদ্ধে যে কোনও প্রস্তাব নেওয়া হলে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।" একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, তাঁর দরজায় আসার আগে আদানির কয়লা কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার এফআইআর দায়ের করা উচিৎ ৷
সংসদে শিরোনামের তাঁর চিঠিতে নিশিকান্ত দুবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ করেন ৷ এক্ষেত্রে মহুয়ার বিরুদ্ধে দুবে 'সংসদ অবমাননা' এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি-এর 120-এ ধারার অধীনে একটি ফৌজদারি অপরাধ বলেও অভিযোগ করেছেন। চিঠিতে দুবে লিখেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদের প্রতিনিধি মহুয়া মৈত্র সম্প্রতি সংসদে প্রায় 50টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৷ সেক্ষেত্রে স্পষ্ট, দর্শন হিরানন্দানি এবং তাঁর কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার অভিপ্রায়ে মহুয়াকে ঘুষ দিয়েছিলেন ৷
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্নগুলি প্রায়শই দেখা গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই ৷ দুবে তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন তথ্যের সমর্থনে সমস্ত কাগজপত্র এবং নথিও জমা দিয়েছেন ৷ যে নথিগুলি 12 ডিসেম্বর, 2005-এর 'ক্যাশ ফর কোয়েরি'-এর কথা ফের একবার মনে করিয়ে দেয় ৷ চিঠিতে দুবে আরও অভিযোগ করেছেন, "অন্য ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে টার্গেট করে লোকসভায় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে ৷ পরিবর্তে একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একজন সংসদ সদস্য টাকা নিয়েছে ৷"